
ধর্ষণে ব্যর্থ হওয়ায় গলাটিপে হত্যাচেষ্টা ও পিটিয়ে জখম করার অভিযোগে দেবর ও তার সহযোগীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আদালতে ভুক্তভোগী গৃহবধূ নিজেই মামলা করেছেন।
আদালতের বিশেষ পিপি রনজুয়ারা শিপু বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
সোমবার (১৩ অক্টোবর) বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক ও জেলা জজ লায়লাতুল ফেরদৌস মামলাটি গ্রহণ করে তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে এজাহারভুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার আসামিরা হলেন- বরগুনা জেলার তালতলী উপজেলার আলীর বন্দর গ্রামের আ. বারেকের ছেলে মো. রাসেল (২৭) ও তার সহযোগী মো. সাইফুল (২২)।
এ বিষয়ে গৃহবধূ বলেন, আমি ধর্ষণে বাধা ও জোরে চিৎকার দেই। এ সময় সাইফুল আমার ঘরে ঢুকে আমাকে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুসি মেরে মারাত্মক আহত করে।
তিনি বলেন, রাসেল আমার তলপেটে লাথি মারে। সাইফুল আমার গলাটিপে হত্যার চেষ্টা করে। রাসেল নাক-মুখ চেপে হত্যার চেষ্টা করে। আমার চিৎকারে তিনজন প্রতিবেশী আমার ঘরে এলে আসামিরা পালিয়ে যায়। তালতলী হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে মামলা করি।
আসামিরা পলাতক থাকায় তাদের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা যায়নি।
জানা যায়, আসামিরা ভুক্তভোগী গৃহবধূর দেবর। ওই গৃহবধূর স্বামী মালয়েশিয়ায় চাকরিতে আছেন। সেই সুযোগে আসামি রাসেল তার ভাবিকে বিভিন্ন সময় উত্ত্যক্ত করতে থাকেন। গৃহবধূ নিষেধ করলে রাসেল উত্ত্যক্তের মাত্রা বাড়িয়ে দেন।
শনিবার (১১ অক্টোবর) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে ঘরের দরজা খুলে গৃহবধূ বাহিরে বাথরুমে যান। এ সময় রাসেল খোলা দরজা দিয়ে ঘরে ঢুকে লুকিয়ে থাকেন। গৃহবধূ ঘরে প্রবেশ করামাত্র আসামি রাসেল মুখ চেপে ভাবিকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন।