
আলোচিত ব্যবসায়ী নোমান উদ্দিন হত্যাকাণ্ডের মূল রহস্য উদঘাটনে শ্যালক হানিফ আহমদ সুমনকে (৩৮) ৪ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বুধবার দুপুরে জকিগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইবরাহিম সরকারের আদালতে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন শুনানির পর বিচারক ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে এ আদেশ দেন। এ সময় সুমন আসামির ডকে উপস্থিত ছিলেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জকিগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল্লাহ আল মোমেন জানান, সুমনকে চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। রিমান্ডে অন্য তথ্য পাওয়া যেতে পারে।
গত ২৯ সেপ্টেম্বর জকিগঞ্জের কালিগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ী নোমান উদ্দিন বাড়ি থেকে বেরিয়ে নিজ দোকানে এসে সকাল ১১ টার দিকে নিখোঁজ হন। ২ অক্টোবর বাড়ির অদূরে শায়লা স্মৃতি হাসপাতালের পেছনের ধান ক্ষেতে তার লাশ পাওয়া যায়। নৃশংস ঘটনার পর নিহতের শ্যালক সুলতানপুর ইউপির ঘেছুয়া গ্রামের তেরাই মিয়ার ছেলে হানিফ আহমদ সুমন (৩৮), বাবুর বাজার পশ্চিম গঙ্গাজল গ্রামের মামই মিয়ার ছেলে শ্যালক মাজেদ (২৬), গোলাঘাট গ্রামের তাছকিন আহমদ তাজুল (২৫)সহ নিহতের স্ত্রী মনোয়ারা বেগম ও মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস মুন্নির দিকে ঘটনার অভিযোগ তুলেন এলাকার সর্বস্তরের লোকজন।
নিহতের ভাই রিয়াজ উদ্দিন দাবী করছেন, তার ভাইয়ের হত্যা মামলাকে ধামাচাপা দিতে নোমানের স্ত্রী মনোয়ারা বেগম ও মামলার বাদী মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস মুন্নি তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। আসামি সুমন, মাজেদ ও তাজুলসহ অন্য আসামিরা নিকট আত্মীয় হওয়ায় তাদেরকে বাঁচানোর ছলচাতুরী করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ঘটনায় সরাসরি জড়িত মাজেদ ও তাজুলকে এখন পর্যন্ত গ্রেফতার না করায় তারা মামলাকে প্রভাবিত করে ঘটনার আলামত নষ্ট করছে। এ নিয়ে এলাকায় তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
অন্যদিকে, ঘটনায় জড়িত বাবুর বাজার পশ্চিম গঙ্গাজল গ্রামের মামই মিয়ার ছেলে মাজেদ আহমদ বিদেশ পালিয়ে যাচ্ছে বলে ফেসবুকে স্কীনশট ভাইরাল হয়েছে। পুলিশ তাকে গ্রেফতারে অভিযান চালালে মাজেদের বাড়িতে গিয়ে দেখতে পায় পরিবারের লোকজন বাড়ি তালা দিয়ে চলে গেছে।