
রাইজিংসিলেট- স্মার্টফোন আমাদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে। কিন্তু আমরা অনেক সময় না জেনেই এমন কিছু জায়গায় ফোন রাখি বা ব্যবহার করি, যা স্বাস্থ্যের ক্ষতি ও দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, এসব অভ্যাস থেকে সাবধান হওয়া জরুরি।
১. পকেটে ফোন রাখা- ফোন শরীরের খুব কাছাকাছি, বিশেষ করে পকেটে রাখলে তা থেকে নির্গত রেডিয়েশন শরীরের উপর প্রভাব ফেলতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে, এটি পুরুষদের প্রজনন ক্ষমতায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে এবং দীর্ঘমেয়াদে ক্যানসারের সম্ভাবনাও বাড়ায়।
২. বালিশের নিচে ফোন রাখা- অনেকে ঘুমানোর সময় ফোন বালিশের নিচে রেখে দেন, যা বিপজ্জনক হতে পারে। যদি ফোন চার্জে থাকে, তাহলে শর্টসার্কিট হয়ে আগুন লাগার ঝুঁকি থাকে। এছাড়া ফোনের আলো ঘুমের হরমোন মেলাটোনিনে ব্যাঘাত ঘটিয়ে ঘুমের মান নষ্ট করে।
৩. ফোন মুখের খুব কাছে রাখা- বারবার ফোন মুখের খুব কাছাকাছি ধরে কথা বললে ত্বকে ব্যাকটেরিয়া জমে যায়। এর ফলে ব্রণ, ফুসকুড়ি ও সংক্রমণ হতে পারে। হেডফোন বা ইয়ারফোন ব্যবহার করলে এই ঝুঁকি কমে যায়।
৪. বাথরুমে ফোন ব্যবহার- অনেকেই বাথরুমে ফোন নিয়ে যান। কিন্তু টয়লেট ফ্লাশ করার সময় কাছাকাছি থাকা বস্তুতে জীবাণু ছড়িয়ে পড়ে, যা ফোনে লেগে মুখ ও ত্বকের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করতে পারে।
৫. চার্জে লাগানো অবস্থায় দীর্ঘ সময় রাখা- ফোন ফুল চার্জ হওয়ার পরও চার্জে রেখে দিলে ব্যাটারি অতিরিক্ত গরম হয়ে যায়, যা ব্যাটারির আয়ু কমিয়ে দেয় এবং আগুন লাগার ঝুঁকি তৈরি করে। এছাড়া নকল চার্জার ব্যবহার করলে বিপদ আরও বাড়ে।
৬. গাড়ির ভেতরে ফোন রাখা- চরম গরম বা ঠান্ডা আবহাওয়ায় গাড়ির ড্যাশবোর্ডে বা গ্লাভ কম্পার্টমেন্টে ফোন রাখলে সেটির অভ্যন্তরীণ যন্ত্রাংশ নষ্ট হতে পারে। গরমে ব্যাটারি ফুলে যেতে পারে, আর ঠান্ডায় স্ক্রিনে সমস্যা হতে পারে।
৭. বালির ওপর বা সৈকতে ফোন রাখা- সমুদ্রসৈকতে বালুর ওপর ফোন রাখলে তা অতিরিক্ত গরম হয়ে যন্ত্রাংশ নষ্ট করতে পারে। বালুর কণা ক্যামেরা ও স্পিকারে ঢুকে ফোনের কার্যক্ষমতা নষ্ট করে দেয়।