
দলের ভেতরে থাকা বিশেষ মহলের প্রতিহিংসার শিকার।
কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দকে ভুল তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করা হয়েছে। তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ বা আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে সরাসরি বহিস্কারাদেশ ত্যাগী নেতাকর্মীদের জন্য গভীর হতাশার বলেও উল্লেখ করেন সিলেট জেলা যুবদলের সদ্য সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক । তিনি তার বহিস্কারাদেশ পূণঃবিবেচনার অনুরোধ জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে সিলেট জেলা প্রেসক্লাবে অনুষ্টিত এক সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে এনাম জানান, ১৪ অক্টোবর হবিগঞ্জ যাওয়ার পথে নবিগঞ্জের বিজনা ব্রিজ এলাকায় দু’জন লোক তাদেরসহ গাড়ির ভিডিও ধারণকে কেন্দ্র করে উচ্চবাচ্য বিনিময় হয়। তারা নিজেদের মুখে সাংবাদিক বললেও গলায় কোনো কার্ড ছিলনা। পরে জানা যায়, তারা ফেসবুক অ্যাক্টিভিস্ট। এক পর্যায়ে তার ড্রাইভার তাদের একজনকে ধাক্কা দেন। এতে পরিস্থিতি জটিলের দিকে যাচ্ছে দেখে তিনি উভয়কে নিবৃত করার চেষ্টা করেন। কিন্তু খুব দ্রæত দু’জন এলাকার প্রচুর মানুষ জড়ো করে তার ড্রাইভারকে শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করে। তবে ওই এলাকার বিএনপির নেতৃবৃন্দসহ স্থানীয় মুরব্বিদের হস্তক্ষেপে আপোষে বিষয়টির মিমাংসা হয়। তারা দাবি জানায়, তাদের নগদ ৩০ হাজার টাকাসহ ৪টি মোবাইল হারিয়েছে, ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। তিনি মোট ১ লক্ষ ৭২ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দিয়ে আপোষে বিষয়টির মিমাংসা করেন। আপোষনামা স্বাক্ষরের মাধ্যমেই তা সম্পন্ন হয়। তারাও ফেসবুকে স্ট্যাটাসও দিয়েছে যে, এনামুলের সহযোগীতায় বিষয়টি সন্তোষজনক নিষ্পত্তি হয়েছে।
তিনি জানান, জাতীয়তাবাদী আদর্শের একজন সৈনিক হিসাবে স্বৈরাচারী শাসনামলে কেবলমাত্র ৫৩টি মামলার আসামী হিসাবে অবর্ননীয় নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। অন্তত ১০ বার কারাবরণ করেছেন। এমনকি তার বাবা ভাইয়েরাও বিভিন্ন মামলার আসামী হয়ে হয়রানির শিকার হয়েছেন। এত ত্যাগ সত্তে¡ও দলীয় নেতৃবৃন্দ যা ভালো মনে করেছেন তাই করেছেন। তাদের সিদ্ধান্তকে সম্মাণ জানিয়ে তিনি বিনয়ের সাথে পুরো ঘটনা দলীয়ভাবে তদন্তের আহ্বান জানান। যদি সত্যি তিনি দোষী হন কিছু বলার নেই। আর নির্দোষ হলে তার বহিষ্কারাদেশ পূণঃবিবেচনা আহ্বান জানান।
এনাম জানান, ঘটনা নিষ্পত্তির ৪/৫ দিন পর ১৯ অক্টোবর একটি ফেসবুক পেইজে সেই ঘটনার ভিডিওটি ছেড়ে দেওয়া হয়। এর মাত্র ২/৩ ঘন্টা পর জাতীয়তাবাদী যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি তার প্রাথমিক সদস্য পদসহ বাতিলসহ দল থেকে বহিস্কার করে।
তিনি জানান, ফাঁসির আসামীকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়া হলেও তার ক্ষেত্রে তা হয়নি। কোনো কারণ দর্শানোর নোটিশও দেওয়া হয়নি।
কারণ দর্শানোর সুযোগ না দিয়ে বহিস্কারাদেশ-এটি নেতৃবৃন্দের সাংগঠনিক যোগ্যতাকে প্রশ্নের মুখে ফেলে বলে তিনি মনে করেন কি না, এমন প্রশ্নের জবাব এড়িয়ে এনামুল ‘নেতৃবৃন্দই ভালো বলতে পারবেন’ বলে মন্তব্য করেন।
তিনি তার ২৫ বছরের রাজনৈতিক ত্যাগ ও অর্জনের বিষয়ে জানান, সিলেট মহানগর ২২নং ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য, সিলেট জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক আহবায়ক কমিটির সদস্য ও সিলেট জেলা ছাত্রদলের সাবেক গণসংযোগ বিষয়ক সম্পাদক হিসাবে নিজের দায়িত্ব সততা ও নিষ্ঠার সাথে পালন করেছেন।