
বোর্নিও দ্বীপে বন উজাড়ের সাথে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সদস্য দেশের কাঠ আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো সরাসরি যুক্ত। দুটি বেসরকারি সংস্থার (এনজিও) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে মঙ্গলবার এ চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে।
প্রতিবেদনটি প্রকাশের পরই ইইউকে অবিলম্বে বন ধ্বংস সংক্রান্ত পণ্য আমদানি নিষিদ্ধ করার আহ্বান জানানো হয়েছে। তবে প্রতিবেদনটি প্রকাশের পরেও ইইউ তার বহু-আলোচিত বন উজাড় বিরোধী আইন ইউরোপীয় ইউনিয়ন ডিফরেস্টেশন রেগুলেশন (ইইউডিআর) আরও এক বছরের জন্য স্থগিত করার উদ্যোগ নিয়েছে।
আর্থসাইট ও অরিগা নুসান্তারা নামের সংস্থাগুলোর যৌথ প্রতিবেদনে দেখা গেছে,ইন্দোনেশিয়ার বোর্নিও দ্বীপের বন উজাড় করা কাঠের সবচেয়ে বড় ইন্দোনেশীয় ক্রেতারা সেই কাঠ উচ্চ ঝুঁকিতে ইউরোপের বিভিন্ন ক্লায়েন্টদের কাছে রপ্তানি করছে।
এনজিওগুলো বলেছে, এই গবেষণাই প্রমাণ করে ইইউডিআর এখনই কার্যকর করা জরুরি। এটি ইউরোপীয় ক্রেতাদের নিশ্চিত করবে যে তাদের কাঠের উৎস বন ধ্বংসের সঙ্গে যুক্ত নয়। এর মাধ্যমে ইউরোপ যে সরাসরি বা পরোক্ষভাবে বন ধ্বংসের সঙ্গে যুক্ত নয়, সেটিও নিশ্চিত হবে।
এদিকে, ইইউ গত মাসে ঘোষণা দেয়, বন ধ্বংস রোধে গৃহীত কঠোর আইন (ইইউডিআর)-এর বাস্তবায়ন আরও এক বছর পিছিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করছে। আইনটি ২০২৫ সালের শেষ নাগাদ কার্যকর হওয়ার কথা ছিল। ইইউ কমিশন দাবি করছে, আইনটি বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় লজিস্টিক অবকাঠামো এখনও পুরোপুরি প্রস্তুত নয়। তবে পরিবেশবাদীরা এই সিদ্ধান্তে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইন্দোনেশিয়ার বন ধ্বংসে জড়িত ইউরোপীয় ক্রেতারা প্রধানত নেদারল্যান্ডস, বেলজিয়াম ও জার্মানির প্রতিষ্ঠান। তারা ২০২৪ সালে ইন্দোনেশিয়া থেকে বাগানের মেঝে ও প্লাইউডসহ প্রায় ২৩ হাজার ঘনমিটার কাঠজাত পণ্য আমদানি করেছে।
বিশ্বে বন ধ্বংসের হার সবচেয়ে বেশি এমন দেশগুলোর মধ্যে একটি ইন্দোনেশিয়া। বিশ্বের বৃহত্তম রেইনফরেস্টের একটি অংশ বোর্নিও দ্বীপ, যেখানে ওরাংওটানসহ বহু বিপন্ন প্রাণী বাস করে।