
অভিবাসনবিরোধী বিক্ষোভ মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে আয়ারল্যান্ডে। দেশটির রাজধানী ডাবলিনে বিক্ষোভ দমনে গিয়ে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে বড় ধরনের সংঘর্ষ হয়েছে পুলিশের।
এ ঘটনায় ডাবলিন থেকে অন্তত ২৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে গত দুইদিনে। এই ২৯ জনের মধ্যে ২৩ জন গ্রেপ্তার করা হয়েছে গতকাল বুধবার (২২ অক্টোবর)।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিক্ষোভের সূত্রপাত হয় গত ২০ নভেম্বর (সোমবার)। সম্প্রতি নথিবিহীন অভিবাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে আয়ারল্যান্ডের পুলিশ। আটক নথিবিহীন অভিবাসীদের রাখা হচ্ছে বিভিন্ন হোটেলে।
বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) আইরিশ পুলিশের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আল জাজিরা।
এই ঘটনা প্রচারিত হওয়ার পর সিটিওয়েস্ট হোটেল ও তার আশপাশের এলাকায় বিক্ষোভ শুরু করেন অভিবাসনবিরোধী আন্দোলনকারীরা। পুলিশ বিক্ষোভকারীদের শান্ত করার চেষ্টা করলে উত্তেজনা আরও বৃদ্ধি পায়। পুলিশের ওপর হামলা করে বসেন অতি উৎসাহী বিক্ষোভকারীরা।
সোমবার স্যাগার্টের সিটিওয়েস্ট হোটেল থেকে ২৬ বছর বয়সী এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে আইরিশ পুলিশ। ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে ১০ বছর বয়সের এক মেয়েকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ ছিল।
পুলিশ এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানা গেছে, সংঘর্ষের সময় পুলিশকে লক্ষ্য করে বোতল, ইট-পাটকেল, হাতবোমা এবং আতশবাজি ছুড়েছেন বিক্ষোভকারীরা। এতে কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে অন্তত ২ জন এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
বিক্ষোভ শুরুর পরের দিন মঙ্গলবার পুলিশের ওপর হামলা ও রাষ্ট্রীয় সম্পদের ক্ষয়ক্ষতির অভিযোগে ৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। পরের দিন বুধবার গ্রেপ্তার করা হয় আরও ২৩ জনকে।
আয়ারল্যান্ডে শেষবার অভিবাসনবিরোধী বিক্ষোভ হয়েছিল ২০২৩ সালে। আলজেরীয় বংশোদ্ভূত এবং পরে আয়ারল্যান্ডের নাগরিকত্ব পাওয়া এক ব্যক্তি একটি প্রাথমিক স্কুলে হাশলা চালিয়ে তিন জন শিশু এবং এক কর্মচারীকে আহত করার পর বড় আকারের অভিবাসনবিরোধী বিক্ষোভ হয়েছিল দেশটিতে।
এরই মধ্যে বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশে সতর্কবার্তা দিয়েছেন আয়ারল্যান্ডের বিচার বিষয়ক মন্ত্রী। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করা এক বার্তায় তিনি জানিয়েছেন, যদি তারা শান্ত না হন— তাহলে গ্রেপ্তারের সংখ্যা আরও বাড়বে। প্রচলিত আইনের আওতায় তাদের বিচারের মুখোমুখি করা হবে। বিক্ষোভকারীদের ‘বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী’ বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি।