ইসরায়েলি আগ্রাসনের পর অবশেষে যুদ্ধবিরতি চলছে ফিলিস্তিনের গাজায়।
তবে, এই যুদ্ধবিরতির মধ্যেই গত শনিবার ভূখণ্ডটিতে আবারও হামলা চালিয়ে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী। কিন্তু, এর মাধ্যমে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন হয়নি বলে দাবি করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও।
সোমবার (২৭ অক্টোবর) তিনি বলেছেন, গাজায় সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে ইসরায়েলি হামলায় যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত যুদ্ধবিরতির লঙ্ঘন ঘটেছে বলে ওয়াশিংটন মনে করে না। খবর রয়টার্সের।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত শনিবার (২৫ অক্টোবর) ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার সশস্ত্র গোষ্ঠী ইসলামিক জিহাদের এক সদস্যের ওপর হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। ইসলামিক জিহাদের ওই সদস্য ইসরায়েলি বাহিনীর ওপর হামলার পরিকল্পনা করছিলেন বলে অভিযোগ করেছে ইসরায়েল। তবে, ইসলামিক জিহাদ ইসরায়েলি এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে এশিয়া সফর করছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। বিমানে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে রুবিও বলেছেন, আমরা এটিকে যুদ্ধবিরতির লঙ্ঘন হিসেবে দেখি না।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্র, মিসর ও কাতারের মধ্যস্থতায় হওয়া চুক্তির অংশ হিসেবে ইসরায়েল আত্মরক্ষার অধিকার ত্যাগ করেনি। এই চুক্তির মাধ্যমেই গাজার প্রধান সশস্ত্র সংগঠন হামাস চলতি মাসে জীবিত জিম্মিদের মুক্তি দেয়।
রুবিও বলেন, যদি ইসরায়েলের ওপর হামলার আসন্ন কোনও হুমকি থাকে, তাহলে তারা প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা নিতে পারবে। আর যুদ্ধবিরতি চুক্তির মধ্যস্থতাকারী সব পক্ষ এই বিষয়ে একমত হয়েছেন।
শনিবার ইসরায়েলের ওই হামলার কিছুক্ষণ আগেই রুবিও তার ইসরায়েল সফর শেষ করেন। গাজায় যুদ্ধবিরতি আরও সুদৃঢ় করাই এ সফরের উদ্দেশ্য ছিল।
গাজায় ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর রয়েছে, তা উভয় পক্ষের দায়বদ্ধতার ওপর ভিত্তি করেই করা হয়েছে। রুবিও বলেন, হামাসের উচিত দ্রুত সেই জিম্মিদের মৃতদেহ ফেরত দেওয়া, যারা বন্দিদশায় মারা গেছেন।