জৈন্তাপুর (সিলেট) ভারতীয় চোরাইপণ্যের বর্গা বাণিজ্য এখন জৈন্তাপুর উপজেলাকে কাবু করছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। স্থানীয় প্রভাবশালী নেতা ও ব্যবসায়ী করিম আহমদ (প্রতিপদে বেন্ডিস করিম) এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে চোরাইপণ্যের নিয়ন্ত্রণে রয়েছেন এবং তাকে পুলিশের একটি লাইনম্যান—তরিকুল ইসলাম তারেক, ও প্রশাসন ম্যানেজ করার মাধ্যমে সহযোগিতা করছে বলে স্থানীয়রা অভিযুক্ত করেছেন।
স্থানীয় দোকানদাররা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, করিমের অনুমতি ছাড়া বাজারে কোনো ভারতীয় পণ্য বিক্রি করা যায় না। তিনি ওই চোরাচালান ব্যবসার ‘বড় কর্তা’ হিসেবে পরিচিত। তাদের অভিযোগ, সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে প্রতিদিন বিপুল পরিমাণ ভারতীয় পণ্য অবৈধভাবে জৈন্তাপুরে পৌঁছানো হচ্ছে এবং এসব পণ্য করিমের আড়তে মজুদ করে বাজারজাত করা হচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি হরিপুরে সেনা সদস্যদের ওপর চোরাচালানিদের হামলা ও গ্রেপ্তারের পর সিলেট অঞ্চলে চোরাচালান চক্র সক্রিয় হয়েছে। সেই ধারাবাহিকতায় জৈন্তাপুর সদর বাজার ও দরবস্ত বাজার এখন চোরাইপণ্য পাচার ও বিক্রির কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে—স্থানীয়রা এমনই অভিযোগ তুলেছেন।
জৈন্তাপুর থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ ফোন রিসিভ না করায় তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন —জেলা থেকে মেট্রো রাতের চোরাচালান
বেন্ডিস করিমকে ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি দাবি করেন, এখন আমার আরতে কোনো চোরাচালানের পণ্য নেই। পুলিশ ও বিজিবি’র লাইনম্যানদের সম্পর্ক জানতে চাইলে করিম বলেন, বিজিবি বিষয় জানতে না পারলেও পুলিশের লাইনম্যানের নাম মনে পড়ছে না—এমন জবাব দেন তিনি।
তরিকুল ইসলাম তারেকের মুঠোফোনেও যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি; পরে পাঠানো ওয়াটসঅ্যাপ মেসেজেরও কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি।
স্থানীয় সচেতন মহল ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোকে আহ্বান জানিয়েছে—জৈন্তাপুরে ভারতীয় চোরাইপণ্য নিয়ন্ত্রণ, পাচার সিন্ডিকেট ভাঙা এবং দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে দ্রুত ও সুষ্ঠু তদন্ত করা হোক। তারা উচ্ছ্বসিত ন্যায্য প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ চেয়েছেন যাতে সীমান্তবর্তী এলাকায় আইনশৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা যায়।
এ রিপোর্টে উল্লিখিত অভিযোগগুলো স্থানীয় সূত্রের; তদন্ত ও আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া না আসা পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কোনো দণ্ডিত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। প্রশাসন বা অভিযুক্তদের পক্ষ থেকে প্রাপ্ত কোনও মন্তব্য স্বাক্ষরে পেলে পরবর্তী সংবাদে তা প্রকাশ করা হবে।
সূত্র -সিলেট এডিশন