জালালাবাদ গ্যাস টি এ্যান্ড ডি সিস্টেম লি এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো: আতিকুর রহমান বলেছেন, গণশুনানি মূলত সরকারি কার্যক্রমে জনগণের মতামত গ্রহণের একটি কার্যকর পদ্ধতি। এর মাধ্যমে কর্মকর্তাদের জবাবদিহিতা বৃদ্ধি, দুর্নীতি প্রতিরোধ এবং নাগরিক ও সরকারের মধ্যে আস্থা তৈরি হয়। সরকারি অফিসকে জনবান্ধব ও গতিশীল করার বিভিন্ন প্রক্রিয়া রয়েছে, যার মধ্যে গণশুনানি একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। জালালাবাদ গ্যাস সেই উদ্যোগের অংশ হিসেবে নিয়মিতভাবে গণশুনানির আয়োজন করে আসছে, যাতে গ্রাহকদের মতামত সরাসরি শোনা যায়। তিনি বলেন, গ্যাস শুধু একটি জ্বালানি নয়, এটি আমাদের ঘরের আলো, রান্নার চুলা এবং শিল্পের উৎপাদন শক্তি।
এই জাতীয় সম্পদ যেন নিরাপদে ও সুষ্ঠুভাবে ব্যবহৃত হয়, সেটি আমাদের সকলের দায়িত্ব। তিনি আরও বলেন, গ্যাস অপচয় বা চুরি হলে ক্ষতি শুধু সরকারের নয়, বরং প্রতিটি নাগরিকের। এক ইউনিট গ্যাসের অপচয় মানে অন্য একটি পরিবারের অধিকার বঞ্চিত হওয়া। তাই তিনি গ্রাহকদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানান এবং কোনো লিকেজ বা অনিয়ম দেখলে তা দ্রুত অফিসে জানানোর অনুরোধ করেন। তিনি বলেন, আমরা চাই, জালালাবাদ গ্যাস অফিস হোক জনগণের অফিস, যেখানে অভিযোগ শুনে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হয়, প্রতিটি গ্রাহক নিজেকে মূল্যবান মনে করেন। আমরা স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও সেবার মান উন্নয়নে অঙ্গীকারবদ্ধ। আমরা সবাই এই দেশের নাগরিক এবং এই সম্পদের যৌথ মালিক। গ্যাস খাতকে টেকসই, সাশ্রয়ী ও নিরাপদ রাখতে হলে সরকার, প্রশাসন ও জনগণ, এই তিন পক্ষকেই একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
তিনি বুধবার (২৯ অক্টোবর) সকাল ১১টায় নগরীর মেন্দিবাগস্থ জালালাবাদ গ্যাস অফিসের কনফারেন্স রুমে জেজিটিডিএসএল-এর গ্রাহকদের সেবার মান উন্নয়ন এবং কার্যক্রমে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে গণশুনানি ২০২৫ এর অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
সহকারী প্রকৌশলী (সফটওয়্যার এ্যান্ড সিস্টেম ডেভেলপমেন্ট শাখা) ফাহিম আহামদ এর সঞ্চালনায় গণশুনানী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন, পেট্রোবাংলার উপ-মহাব্যবস্থাপক (ভিজিল্যান্স) এম নাসিমুল আলীম, পেট্রোবাংলার প্রতিনিধি (পরিকল্পনা কৌশল ও রিসোর্সেস মবিলাইজেশন) প্রকৌ. বিশ্বজিৎ সাহা, প্রকৌশলী মোহাম্মদ সারোয়ার জাহান মাহমুদ, মহাব্যববস্থাপক প্রকৌশলী লিটন কাজী, প্রকৌশলী মুহাম্মদ রেজাউল করিম, প্রকৌশলী নিজাম উদ্দিন, প্রকৌশলী মো. আবু বকর, কোম্পানী সচিব মো. রফিকুল ইসলাম, মহাব্যববস্থাপক (অর্থ) সুনীল কুমার বৈষ্ণব, মহাব্যববস্থাপক (রাজস্ব) মো. মীর মোশারফ হোসেন, মো. রুহুল করিম চৌধুরী, ডিজিএম বিপ্লব দাস, ডিজিএম ফয়জুল আক্তার চৌধুরী, ডিজিএম মো. আব্দুল ওহাব, উপ-মহাব্যববস্থাপক তৌফিকুল আহসান চৌধুরী, ডিজিএম মো. মনোয়ার হোসেন, সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি মঈন উদ্দিন, সিলেট প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, বাংলাদেশ সিএনজি ফিলিং ষ্টেশন এন্ড কনভার্সন ওয়ার্কশপ ওনার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি আমিরুজ্জামান চৌধুরী, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সুব্রত ধর বাপ্পি, সাবেক সহ-সভাপতি সাজুওয়ান আহমদ, সাংগঠনিক সম্পাদক আলী আফছার মোঃ ফাহিম, অর্থ সম্পাদক ফয়েজ উদ্দিন আহমদ, সদস্য জিহাদ আহমদ, সদস্য ফরহাদ আলী ইমন, সদস্য মনোয়ার হোসেন, ওয়ালি মাহমুদ, মালিনী চড়া চা বাগানের সহকারি ম্যানেজার বিদ্যুৎ তালুকদার, ইঞ্জিনিয়ার কয়সর আহমদ, মো. মনির আহাম্মদ, মো. নাসির চৌধুরী, মো. মতিউর রহমান, একেএম মনোয়ার হোসেন, বিশ্বজিত তালুকদার, নন্দলাল গোপ, মো. আব্দুল হক, সৌমিত্র দাস, তৈমুছ আলী, কয়সর আহমদ, ফারুক আহমদ, হুমায়ুন রশীদ, জাফর আহমদ, মো. নুরুজ্জামান সিদ্দিকী, মনিন্দ্র দাস, মো. কামাল হোসেন, মো. আশরাফ উদ্দিন, আব্দুল মালেক, ছয়ফুল আলম, শামীম আহমদ, আব্দুল মান্নান, আফতাব উদ্দিন, রঞ্জন কুমার সরকার, মেহেদী হাসান, রতন বারৈ, আর এ রানা, সাব্বির আহমদ, মো. আরিফুল ইসলাম, সালাম আহমদ, শফিকুর রহমান, শান্তনু রায়, শরিফুল হক, জিল্লুর রহমান, এসএম অনিক ইসলাম, কৃষ্ণ মনি বিশ্বাস, প্রফেসর সিরাজুল হক, কার্যকরি কমিটির সদস্য ফরহাদ আলী ইমন, এ কে এম মনোয়ার আহমদ, ইফতেখার আহমেদ, এডভোকেট নাদিম রহমান, সঞ্জয় দাস, আখতারুল ইসলাম, জামেদ আহমদ, সাব্বির আহমদ ও লোকমান আহমদ প্রমুখ। এছাড়াও ভার্চুয়াল এর মাধ্যমে গণশুনানী অনুষ্ঠানে বিভিন্ন কোম্পানীর প্রতিনিধি ও গ্রাহকরাও অংশগ্রহণ করেন।