রাইজিংসিলেট- সিলেটের দক্ষিণ সুরমায় আওয়ামী লীগ নেতা আবদুর রাজ্জাক হত্যাকাণ্ডে কোনো পারিবারিক পক্ষ মামলা না করায়, পুলিশ নিজ উদ্যোগে বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেছে।
ঘটনার পর নিহত রাজ্জাকের ছেলে আসাদ আহমদকে গ্রেফতার দেখিয়ে শনিবার (১ নভেম্বর) আদালতে হাজির করা হয়। আদালতের নির্দেশে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। পরে হত্যার রহস্য উদ্ঘাটনের জন্য পুলিশ আসাদের পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে।
সোমবার (৩ নভেম্বর) দুপুরে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত–১-এর বিচারক শফিকুল হক শুনানি শেষে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
পুলিশ জানায়, আবদুর রাজ্জাকের পেট, বুক ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাত পাওয়া গেছে। ঘটনাস্থল থেকে ২২ ইঞ্চি লম্বা একটি ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে, যা ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, রাজ্জাকের এক ছেলে ও এক মেয়ে—দুজনেরই বিয়ে হয়েছে। কয়েক মাস আগে তিনি সম্পত্তি ভাগ করে দিয়েছেন। সাম্প্রতিক সময়ে অসুস্থ থাকায় চিকিৎসার জন্য ভারতও গিয়েছিলেন। তার নামে গত বছরের আগস্টের পর একটি মামলা চলমান ছিল, তবে তিনি নিজ বাড়িতেই থাকতেন।
বাড়ির সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, বৃহস্পতিবার ভোর থেকে লাশ উদ্ধারের আগ পর্যন্ত কেউ বাড়িতে প্রবেশ বা বের হননি। কেবল সকালে গৃহকর্মী ঢুকে দেখতে পান, রাজ্জাক তার কক্ষে নেই। পরে পরিবারের সদস্যরা সিঁড়ির ঘরে তার মৃতদেহ দেখতে পান। তখন সিঁড়ির দরজা তালা দেওয়া অবস্থায় ছিল, আর চাবি রাজ্জাকের কাছেই ছিল।
দক্ষিণ সুরমা থানার এসআই আনোয়ারুল কামাল বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেছেন। মামলায় কারও নাম উল্লেখ না থাকলেও পরিবারের কয়েকজনকে সন্দেহভাজন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (গণমাধ্যম) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।