রাইজিংসিলেট- বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপন বা পালনের জন্য নতুন তালিকা প্রকাশ করেছে সরকার। সম্প্রতি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, জাতীয় দিবস ব্যতীত অন্যান্য দিবসে অতি সাজসজ্জা ও বড় ধরনের বিচিত্রানুষ্ঠান পরিহার করতে হবে। তবে রেডিও ও টেলিভিশনে আলোচনা, সীমিত পরিসরে সেমিনার ও সিম্পোজিয়াম আয়োজন করা যাবে। কর্মদিবসে সমাবেশ বা শোভাযাত্রা পরিহার করার নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া কোনো সপ্তাহ পালনের ক্ষেত্রে অনুষ্ঠানসূচি সর্বোচ্চ তিন দিনের মধ্যে সীমিত রাখার কথা বলা হয়েছে। সরকারি কর্মসূচি যেন অফিস কার্যক্রমে ব্যাঘাত না ঘটায়, সে বিষয়েও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আলোচনা বা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজনের ক্ষেত্রে ছুটির দিন বা অফিস সময়ের পরের সময়কে অগ্রাধিকার দিতে বলা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী দিবসগুলো তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে— জাতীয় পর্যায়ে পালনীয় দিবস, উল্লেখযোগ্য কলেবরে পালনযোগ্য দিবস এবং সীমিত কলেবরে পালনযোগ্য প্রতীকী দিবস।
জাতীয় পর্যায়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপন বা পালনযোগ্য দিবসসমূহ
১. শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস: ২১ ফেব্রুয়ারি
২. জাতীয় বিমা দিবস: ১ মার্চ
৩. গণহত্যা দিবস: ২৫ মার্চ
৪. স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস: ২৬ মার্চ
৫. মে দিবস: ১ মে
৬. বৌদ্ধ পূর্ণিমা: মে মাসে
৭. জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস: ৫ আগস্ট
৮. বিজয় দিবস: ১৬ ডিসেম্বর
৯. বড়দিন: ২৫ ডিসেম্বর
১০. বাংলা নববর্ষ: ১ বৈশাখ
১১. রবীন্দ্রজয়ন্তী: ২৫ বৈশাখ
১২. নজরুলজয়ন্তী: ১১ জ্যৈষ্ঠ
১৩. ঈদুল ফিতর: ১ শাওয়াল
১৪. ঈদুল আজহা: ১০ জিলহজ
১৫. ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.): ১২ রবিউল আওয়াল
১৬. দুর্গাপূজা: পঞ্জিকা অনুযায়ী
উল্লেখযোগ্য কলেবরে পালনযোগ্য দিবসসমূহ
এসব দিবস ঐতিহ্যগতভাবে পালিত হয়ে আসছে অথবা পরিবেশ সংরক্ষণ, উন্নয়ন ও সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধিতে সহায়ক বিবেচনায় পালন করা হবে। এ ধরনের অনুষ্ঠানের জন্য সরকারি উৎস হতে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত বরাদ্দ রাখা যেতে পারে।
দিবসগুলোর মধ্যে রয়েছে—
জাতীয় সমাজসেবা দিবস (২ জানুয়ারি), জাতীয় টিকা দিবস (বছরের শুরুতে নির্ধারণযোগ্য), জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস (৫ ফেব্রুয়ারি), জাতীয় ভোটার দিবস (২ মার্চ), জাতীয় পাট দিবস (৬ মার্চ), বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস (৭ এপ্রিল), মুজিবনগর দিবস (১৭ এপ্রিল), বিশ্ব পরিবেশ দিবস (৫ জুন), বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস (১১ জুলাই), আন্তর্জাতিক যুব দিবস (১২ আগস্ট), বিশ্ব পর্যটন দিবস (২৭ সেপ্টেম্বর), জাতীয় উৎপাদনশীলতা দিবস (২ অক্টোবর), বিশ্ব শিক্ষক দিবস (৫ অক্টোবর), বিশ্ব খাদ্য দিবস (১৬ অক্টোবর), বিশ্ব এইডস দিবস (১ ডিসেম্বর), আন্তর্জাতিক ও জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস (৩ ডিসেম্বর), বেগম রোকেয়া দিবস (৯ ডিসেম্বর), আন্তর্জাতিক অভিবাসী ও জাতীয় প্রবাসী দিবস (১৮ ডিসেম্বর)সহ আরও কয়েকটি দিবস।
সীমিত কলেবরে পালনযোগ্য প্রতীকী দিবসসমূহ
বিশেষ খাতভিত্তিক কিছু দিবস সীমিত পরিসরে পালনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এসব দিবসের জন্য কোনো উন্নয়ন খাত থেকে বিশেষ বরাদ্দ দেওয়া হবে না।
এর মধ্যে রয়েছে—
বার্ষিক প্রশিক্ষণ দিবস (২৩ জানুয়ারি), জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস (২ ফেব্রুয়ারি), জাতীয় ক্যানসার দিবস (৪ ফেব্রুয়ারি), আন্তর্জাতিক নারী অধিকার দিবস (৮ মার্চ), বিশ্ব পানি দিবস (২২ মার্চ), বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস (২৪ মার্চ), বিশ্ব টেলিযোগাযোগ দিবস (১৫ মে), বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস (৩১ মে), আন্তর্জাতিক ওজোন সংরক্ষণ দিবস (১৬ সেপ্টেম্বর), আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস (১ অক্টোবর), বিশ্ব মানবাধিকার দিবস (১০ ডিসেম্বর), জাতীয় জীববৈচিত্র্য দিবস (২৯ ডিসেম্বর)সহ আরও কয়েকটি দিবস।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়েছে, উপদেষ্টারা এসব অনুষ্ঠানে সম্পৃক্ত থাকবেন এবং গুরুত্বপূর্ণ দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টাকে আমন্ত্রণ জানানো হবে।