রাইজিংসিলেট- অর্থনৈতিক খাতের দীর্ঘমেয়াদি তারল্য সংকট নিরসনে শরিয়াভিত্তিক পাঁচটি বাণিজ্যিক ব্যাংককে একত্রিত করে একটি নতুন প্রতিষ্ঠান গঠনের উদ্যোগ চূড়ান্ত করেছে সরকার। নবগঠিত এই ব্যাংকের নাম রাখা হয়েছে ‘সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক’।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদিত নথি অনুযায়ী, নতুন ব্যাংকের শেয়ারসমূহ প্রাথমিকভাবে সংশ্লিষ্ট অংশীদারদের মধ্যে বণ্টন করা হবে।
পরিচালনা কাঠামো- সরকারি সিদ্ধান্ত অনুসারে, নতুন ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে মোট সাতজন সদস্য থাকবেন। অর্থ সচিব হবেন পর্ষদের চেয়ারম্যান। বাকি ছয়জন সদস্য প্রত্যেকে একটি করে শেয়ারের মালিক হবেন। রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকটির অবশিষ্ট সব শেয়ারের অধিকার থাকবে অর্থ সচিবের কাছে।
মূলধন ও ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা- নিয়ম অনুযায়ী, যেসব পরিচালক অন্তত একটি অনাবদ্ধ শেয়ারের মালিক হবেন, কেবল তারাই পরিচালনা পর্ষদে থাকার যোগ্য হবেন। প্রাতিষ্ঠানিক স্বার্থের প্রতিনিধিদের জন্য এ বাধ্যবাধকতা প্রযোজ্য হবে না।
একই সঙ্গে নির্ধারিত হয়েছে, ব্যাংকের মোট মূলধন কখনোই ঝুঁকিভিত্তিক সম্পদের ১০ শতাংশের নিচে নামতে পারবে না কিংবা বাংলাদেশ ব্যাংক যে হার নির্ধারণ করবে, তা মানতে হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তদারকি ব্যবস্থা
বাংলাদেশ ব্যাংকের উদ্যোগে রাজধানীর মতিঝিলে সেনা কল্যাণ ভবনের ১৭তম তলায় ২,৩৩৬ বর্গফুট আয়তনের একটি অফিস বরাদ্দ করা হয়েছে, যেখান থেকে পুরো একীভূতকরণ প্রক্রিয়া পরিচালিত হবে। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে আজ একটি প্রেস ব্রিফিংয়ের আয়োজন করা হয়েছে, যেখানে গভর্নর, ডেপুটি গভর্নর ও সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন।
মূলধনের কাঠামো- বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রণীত রোডম্যাপ অনুযায়ী, ‘সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক’-এর পরিশোধিত মূলধন নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৫০ বিলিয়ন টাকা। এর মধ্যে ২০০ বিলিয়ন টাকা সরকার বিনিয়োগ করবে ইক্যুইটি হিসেবে, এবং অবশিষ্ট ১৫০ বিলিয়ন টাকা আসবে ডিপোজিট ইন্স্যুরেন্স ট্রাস্ট ফান্ড ও বিভিন্ন প্রাতিষ্ঠানিক আমানত থেকে।
এই একীভূতকরণের মাধ্যমে দেশে প্রথমবারের মতো একটি সম্পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন শরিয়াভিত্তিক বাণিজ্যিক ব্যাংক কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে।