বিমানবন্দর থানার অন্তর্গত ৭ এলাকার নিরীহ মানুষের উপরে মাদককারবারী ও ডাকাত সরদারের দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও মাদক ব্যবসায়ী, ডাকাত সর্দার, চোরাকারবারি ইলিয়াস, কাউসার, কয়েছ,লায়েক আলামিন গংদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মাখরখলা, সিদাইরগুল, কুশাল, বারারহাট, পাইকপাড়া, কালাগুল ও দাধারানি এলাকাবাসীর উদ্যোগে সিলেট সিটি পয়েন্টে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার ৫ নভেম্বর দুপুরে সিলেট নগরীর সিটি পয়েন্টে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্রতিবাদ সমাবেশে সিদাইরগুল জামে মসজিদের মোতাওয়াল্লি জনাব আব্দুর রাজ্জাক এর সভাপতিত্বে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ সিলেট জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মোঃ ছাদেক মিয়া, জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট সিলেট জেলা কমিটির দপ্তর সম্পাদক রমজান আলী পটু, এলাকাবাসীর পক্ষে বক্তব্য রাখেন শতুপাত্র, বিন তুই, তরণী পাত্র, প্রফুল্ল পাত্র, বাচ্চু মিয়া, শায়েস্তামিয়া, আব্দুন নূর, মশাই মিয়া, সামসুল ইসলাম, শাহেনা বেগম, জুলেখা বেগম ও সোনাবান বিবি প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, আমরা এই কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দা, দেশের আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে, নিয়ম-নীতি ও সমাজের সামাজিক দায়বদ্ধতার উপলব্ধি থেকে আমাদের সন্তানদের ভবিষ্যতের জন্য সুন্দর সমাজ প্রতিষ্ঠার প্রেক্ষিতে ভূমিকা রেখে চলেছি। আমরা আমাদের পরিবার-পরিজন নিয়ে প্রায় শত বছর সিদাইরগুল,মাখরখলা, বারারহাট, কুশাল, এলাকায় বসবাস করে আসছি। কিন্তু দুঃখের বিষয় হচ্ছে আজ থেকে ৩ বছর পূর্বে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ৫ নং রনিখাইল ইউনিয়ন ফেদারগ্রামের বাসিন্দা শীর্ষ সন্ত্রাসী, ডাকাত সরদার মাদক ব্যবসায়ী চিহ্নিত চোরাকারবারি কাউসার গংদেরকে অই এলাকার সাধারণ জনগণ, তাদের এই অপকর্মের কারণে এলাকা থেকে তাদের সপরিবারে উচ্ছেদ করে দেয়। পরবর্তীতে কোম্পানীগঞ্জে কোন জায়গা না পেয়ে, তাদের এক আত্মীয়ের মাধ্যমে আমাদের এলাকায় জায়গা ক্রয় করে এয়ারপোর্ট থানাধীন ৩ নং খাদিমনগর ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের সিদাইরগুলে বসবাস করে আসছিলো। বসবাস করার ৬ মাস এর মধ্যেই জামে মসজিদের সামনে প্রাইভেট কারে একটি চুরির গরুসহ কাওসার গংদের জনসাধারণ আটক করে। তারা এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ চেয়ারম্যানের কাছে লিখিত দেয় তারা এরকম অপকর্ম আর করবে না। এরপরেও তারা ধারাবাহিকভাবে মাদক ব্যবসা, চুরাকারবার, ছিনতাই ডাকাতি অব্যাহত রেখেছে। তাদের অপকর্মের প্রতিবাদ করলে এলাকার নিরীহ জনগণকে ভয় ভীতি প্রদর্শন করে। সম্প্রতি তাদের অপকর্মের বিরুদ্ধে এলাকাবাসী ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিবাদ করে, এর ফলে কাউসারগংরা এলাকাবাসীর উপরে হামলা নৃশংস হামলা চালায় এবং এলাকাবাসীর ওপরেই মিথ্যা মামলা দায়ের করে। আমরা অবিলম্বে এই মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও সন্ত্রাসী ইলিয়াস ও কাওসার গংদেরকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে যথাযথ ব্যবস্থা করার আহ্বান জানান।