
রাইজিংসিলেট- বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) সিলেট বিভাগের ১৯টি আসনের মধ্যে ১৫টি আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে। এই প্রার্থিতা ঘোষণায় দেখা গেছে—অনেক আলোচিত ও প্রভাবশালী নেতা বঞ্চিত হয়েছেন, আবার নতুন ও প্রবাসী নেতাদের অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে।
সিলেট জেলা
সিলেটের ছয়টি আসনের মধ্যে পাঁচটিতে প্রার্থী ঘোষণা করেছে বিএনপি।
সিলেট-১: সাবেক সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী এই আসনে মনোনয়ন পাননি। পরিবর্তে চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির প্রার্থী হয়েছেন।
সিলেট-২: বিএনপি নেতা এম ইলিয়াস আলীর স্ত্রী তাহসীনা রুশদীর লুনা প্রার্থী হয়েছেন। এ আসনে তারেক রহমানের উপদেষ্টা হুমায়ুন কবির মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন, কিন্তু পাননি।
সিলেট-৩: স্থানীয় বেশ কয়েকজন ত্যাগী নেতা থাকা সত্ত্বেও মনোনয়ন পেয়েছেন যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি মোহাম্মদ আব্দুল মালিক। মনোনয়নপ্রত্যাশীদের মধ্যে ছিলেন ব্যারিস্টার এম. এ. সালাম ও আবদুল আহাদ খান জামাল।
সিলেট-৪: সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীকে এই আসনে প্রার্থী করা হয়েছে, ফলে কেন্দ্রীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক মিফতাহ সিদ্দীকিসহ অন্যরা বাদ পড়েছেন।
সিলেট-৫: এ আসনে এখনো প্রার্থী ঘোষণা হয়নি।
সিলেট-৬: অ্যাডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী প্রার্থী হয়েছেন; শিল্পপতি ফয়সল আহমদ চৌধুরী মনোনয়ন পাননি।
সুনামগঞ্জ জেলা
সুনামগঞ্জের পাঁচটি আসনের মধ্যে তিনটিতে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে।
সুনামগঞ্জ-১: কৃষক দলের কেন্দ্রীয় নেতা আনিসুল হক মনোনীত হয়েছেন; কামরুজ্জামান কামরুল বঞ্চিত।
সুনামগঞ্জ-৩: যুক্তরাজ্য বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কয়সর এম আহমেদ প্রার্থী হয়েছেন। মনোনয়নপ্রত্যাশীদের মধ্যে ছিলেন এম. এ. সাত্তার, এম. এ. কাহার ও ব্যারিস্টার আনোয়ার হোসেন।
সুনামগঞ্জ-৫: কলিম উদ্দিন আহমেদ মিলন মনোনীত হয়েছেন; মিজানুর রহমান চৌধুরী বঞ্চিত।
সুনামগঞ্জ-২ ও ৪: এই দুই আসনে প্রার্থী ঘোষণা হয়নি। আলোচনায় আছে, আসন দুটি শরিক দলের জন্য ছেড়ে দেওয়া হতে পারে।
মৌলভীবাজার জেলা
মৌলভীবাজারের চারটি আসনেই প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে।
মৌলভীবাজার-১: শিল্পপতি নাসির উদ্দিন মিঠু মনোনীত হয়েছেন; শরিফুল হক সাজু ও ব্যারিস্টার জহরত আবিদ চৌধুরী মনোনয়ন পাননি।
মৌলভীবাজার-২: শওকতুল ইসলাম প্রার্থী হয়েছেন; অ্যাডভোকেট আবেদ রাজা বাদ পড়েছেন।
মৌলভীবাজার-৩: প্রয়াত অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমানের ছেলে নাসের রহমান প্রার্থী হয়েছেন; মিজানুর রহমান মিজান মনোনয়ন পাননি।
মৌলভীবাজার-৪: মুজিবুর রহমান চৌধুরী মনোনীত; সাবেক পৌর মেয়র মহসিন মিয়া মধু বাদ পড়েছেন।
হবিগঞ্জ জেলা
হবিগঞ্জের চারটির মধ্যে তিনটি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে।
হবিগঞ্জ-২: ডা. আবু মনসুর সাখাওয়াত হাসান জীবন প্রার্থী হয়েছেন; আহমেদ আলী মুকিব আব্দুল্লাহ বাদ পড়েছেন।
হবিগঞ্জ-৩: কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক জি কে গউছ প্রার্থী হয়েছেন; অ্যাডভোকেট এনামুল হক সেলিম ও ডা. আহমুদুর রহমান আবদাল মনোনয়ন পাননি।
হবিগঞ্জ-৪: সাবেক এমপি ও শিল্পপতি সৈয়দ মোহাম্মদ ফয়সল মনোনয়ন পেয়েছেন; শাম্মী আক্তার ও আমিনুল ইসলাম বঞ্চিত।