
বর্তমান পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য আওয়ামী লীগ চারটি সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে বলেছেন,সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম মাওলা রনি ।
সম্প্রতি নিজের ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশিত এক ভিডিওতে তিনি এই পরিকল্পনাগুলো বিস্তৃতভাবে তুলে ধরেন।
রনির মতে, এই প্ল্যান ‘এ’-র ৯৯ শতাংশ কাজ চলছে গোপনে ভারতের সহযোগিতা এবং বিদেশি এজেন্ট ও বন্ধুবান্ধবদের সাহায্য নিয়ে, যার মূল লক্ষ্য হলো যেকোনো মূল্যে প্রধানমন্ত্রীর রূপে আবার ফিরে আসা।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের প্রথম কৌশল বা ‘প্ল্যান এ’ হলো—তারা এখনো মনে করছে শেখ হাসিনা বাংলাদেশের বৈধ প্রধানমন্ত্রী। যদিও প্রথমে পদত্যাগের কথা বলা হয়েছিল, এখন এ বিষয়ে নানা এলোমেলো কথা বলা হচ্ছে, যা মানুষের মনে দ্বিধা তৈরি করেছে যে শেখ হাসিনা আসলে পদত্যাগ করেননি। রাষ্ট্রপতিও ইতোমধ্যে বলেছেন পদত্যাগের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তাদের কাছে নেই। যদিও শেখ হাসিনা একাধিকবার বলেছেন তিনি পদত্যাগ করেননি, আবার পরিস্থিতি মেনে নিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে চান বলেও জানিয়েছেন।
রনি জানান, তাদের দ্বিতীয় কৌশল বা ‘প্ল্যান বি’ হলো—বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে স্বাভাবিক বা নরমালাইজ করা। একে তিনি ‘রিকনসিলিয়েশন’ হিসেবে উল্লেখ করেন। এই পরিকল্পনা অনুযায়ী, বিএনপি ক্ষমতায় আসুক বা নির্বাচন হোক অথবা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অংশগ্রহণ করুক, তারা একটি রিকনসিলিয়েশন করে পাঁচ বছরের একটি মাল্টিপ্ল্যান নিয়ে আবার ক্ষমতায় ফিরে আসার চেষ্টা করবে।
গোলাম মাওলা রনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগের চতুর্থ ও শেষ কৌশল বা ‘প্ল্যান ডি’ হলো—যেকোনো মূল্যে নির্বাচনকে বানচাল করা। এই পরিকল্পনা অনুযায়ী, আওয়ামী লীগ ভারতের সাহায্য-সহযোগিতা নিয়ে তাদের লোকজনকে দিয়ে পুরো নির্বাচন প্রক্রিয়াকে ঘিরে অরাজকতা তৈরি করতে চায়। এর মাধ্যমে নির্বাচনের প্রার্থীরা, বিশেষত বিরোধী প্রার্থীরা, যেন ভয়-আতঙ্ক বোধ করেন এবং নির্বাচনের মাঠ রীতিমতো ভয়াবহ করে তোলা যায়—সেটাই তাদের উদ্দেশ্য।
সাবেক এই সংসদ সদস্য বলেন, তাদের তৃতীয় কৌশল বা ‘প্ল্যান সি’ হলো—নির্বাচন যদি হয়, তবে পাকিস্তানে ইমরান খান যেভাবে জেলখানাতে থেকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে বিস্ময়কর সফলতা লাভ করেছিলেন, ঠিক একই পদ্ধতি আওয়ামী লীগও অবলম্বন করতে চাইছে। অর্থাৎ, তাদের দলের লোকজন কোনো দলীয় ব্যানার ছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দাঁড়াবেন। এই প্রার্থীদের জন্য যত অর্থ খরচ করা লাগে, আওয়ামী লীগ করবে এবং এর সঙ্গে ‘র’-এর (ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা) সমর্থন থাকবে। এই সময়ে আওয়ামী লীগের যে সমস্ত ব্যবসায়ী ও নিউট্রাল লোকজন রয়েছেন, তাদেরকে রাজনীতিতে সক্রিয় করার চেষ্টা করা হচ্ছে।