
রোববার (৯ নভেম্বর) এ বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। দেশের ১২টি জেলা থেকে জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) প্রত্যাহার করে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও দপ্তরে পদায়ন করেছে সরকার।
তাদের মধ্যে ১০ জন ডিসি যুগ্ম-সচিব পদে পদোন্নতির পরও দায়িত্ব চালিয়ে আসছিলেন। ডিসি পদে সাধারণত উপসচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তারা নিয়োগ পেয়ে থাকেন।
ঝিনাইদহের ডিসি মোহাম্মদ আব্দুল আউয়ালকে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, পঞ্চগড়ের ডিসি মো. সাবেত আলীকে কৃষি মন্ত্রণালয়, চাঁদপুরের ডিসি মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিনকে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়, মানিকগঞ্জের ডিসি মনোয়ার হোসেন মোল্লাকে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ, কিশোরগঞ্জের ডিসি ফৌজিয়া খানকে পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং জয়পুরহাটে ডিসি আফরোজা আকতার চৌধুরীকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব করা হয়েছে।
ময়মনসিংহে ডিসি মুফিদুল আলম পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ কর্তৃপক্ষের মহাপরিচালক (যুগ্ম-সচিব) নিয়োগ পেয়েছেন। এজন্য তার চাকরি প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় ন্যস্ত করা হয়েছে। চুয়াডাঙ্গার ডিসি মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সদস্য (যুগ্ম-সচিব) নিয়োগ পেয়েছেন।
এজন্য তার চাকরি গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় ন্যস্ত করা হয়েছে। অন্যদিকে গোপালগঞ্জের ডিসি মুহম্মদ কামরুজ্জামানকে খুলনা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক করা হয়েছে। এজন্য তিনি স্থানীয় সরকার বিভাগে ন্যস্ত হয়েছেন।
জামালপুরের ডিসি হাসিনা বেগম মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ডিসি মোহাম্মদ দিদারুল আলম প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব নিয়োগ পেয়েছেন।
এ ছাড়া ঝালকাঠি ডিসি আশরাফুর রহমান সিলেটের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (যুগ্ম-সচিব) হয়েছেন।