
যে কেউ সিন্ডিকেটের অন্যায়ের প্রতিবাদ করলে, তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা বা থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। সাংবাদিকরাও এর থেকে রেহাই পান নি।
সোশ্যাল মিডিয়ায় এখন প্রায় প্রতিদিনই ছাতক ওয়াপদার দুর্নীতি, হয়রানি ও মামলা বানিজ্যের নানান ভিডিও ও পোস্ট ভাইরাল হচ্ছে।
অভিযোগ রয়েছে, ঠিক এ ধরনের অনিয়মের দায়ে সিন্ডিকেটের অন্যতম পৃষ্ঠপোষক ও সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল মালেককে পূর্বে শাস্তিমূলক বদলি করা হয়েছিল। এখন সেই একই পথে হাঁটছেন তাঁর উত্তরসূরি আব্দুল মজিদ, যিনি এই দপ্তরকে আবারও দুর্নীতি ও ঘুষ বাণিজ্যের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করেছেন। ইতিপূর্বে তাকেও বান্দরবানে শাস্তি মুলক বদলী করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
স্থানীয়রা বলছেন, ওয়াপদা অফিস আজ সিন্ডিকেটের কব্জায়। সাধারণ গ্রাহকরা ন্যায্য পাওনা চাইলেও তাদের হয়রানি করা হয়। এখনই কঠোর ব্যবস্থা না নিলে এই চক্র পুরো বিদ্যুৎ ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দেবে। এছাড়া তথ্য সংগ্রহকারী গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে অসাধু আচরণ ও তাদের নামে একের পর মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করা হচ্ছে।
তদন্তসাপেক্ষে অভিযুক্ত প্রকৌশলী ও ঠিকাদারদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া না হলে এই ‘দুর্নীতির দুর্গ’ ভেঙে পড়বে না, বরং আরও গভীরে প্রোথিত হবে ঘুষের শিকড়।
এ বিষয়ে বক্তব্য নিতে গেলে ছাতক বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের বির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল মজিদ বক্তব্য দিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে সাংবাদিকদের সাথে অসাধু আচরণ করেন।
সিলেট বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী মোঃ আব্দুল কাদির বলেন সাংবাদিকদের সাথে এমন আচড়ন করে তাকলে তা ক্ষতিয়ে দেখা হবে।