
রাইজিংসিলেট- দেশের সর্বউত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে শীতের আগমন স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। বুধবার (১২ নভেম্বর) সকালে তেঁতুলিয়ায় মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করেছে স্থানীয় আবহাওয়া অফিস। সকাল ৬টার পর্যবেক্ষণে এই তথ্য জানা গেছে।
হালকা কুয়াশা থাকলেও পাহাড়ি ঠান্ডা বাতাসে সকালটা বেশ কনকনে ঠেকেছে। হঠাৎ তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় কর্মজীবী মানুষ কিছুটা ভোগান্তিতে পড়েছেন, তবে কৃষকরা থেমে নেই—ভোরে শীত উপেক্ষা করে মাঠে চলছে শাকসবজি তোলা ও পাকা আমন ধান কাটার ব্যস্ততা।
আবহাওয়া অফিস জানায়, সকাল ৬টার সময় বাতাসে আর্দ্রতা ছিল প্রায় ৭৮ শতাংশ এবং বাতাসের গতি ঘণ্টায় ১২ থেকে ১৪ কিলোমিটার। কুয়াশা কিছুটা কমলেও সকালবেলার হিমেল হাওয়া স্পষ্টভাবে শীতের বার্তা দিচ্ছে। তবে দুপুরে সূর্যের আলো বের হওয়ায় সাধারণ জীবনে তেমন প্রভাব পড়েনি। আগামী সপ্তাহে শীত আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
স্থানীয়দের ভাষায়, “দিনে রোদ আর রাতে ঠান্ডা” — এই বৈপরীত্যই এখন তেঁতুলিয়ার নিয়মিত চিত্র। মঙ্গলবার বিকেলে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, আর রাত নামতেই তাপমাত্রা দ্রুত নেমে আসে।
সকালে শহর ও গ্রাম ঘুরে দেখা যায়, হালকা কুয়াশার ভেতর দিয়ে অনেকেই কাজে বের হয়েছেন, কেউ হাঁটছেন আবার কেউ মাঠে ধান কাটছেন। স্কুলগামী শিক্ষার্থীরাও শীতের মধ্যেই বই-খাতা নিয়ে রওনা হয়েছেন।
শহরের স্টেডিয়াম এলাকার এক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী কমলা বেগম জানান, “ভোরে ঠান্ডা পড়ছে, তাই আজ থেকেই দোকানে শীতের পিঠা বিক্রি শুরু করেছি। মানুষও আগ্রহ নিয়ে কিনছে।”
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ রায় জানান, “আগামী দিনগুলোতে তেঁতুলিয়ার দিনের তাপমাত্রা আরও কমতে পারে। নভেম্বরের শেষ ভাগ থেকে ডিসেম্বরের শুরুতে একাধিক মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।”
এদিকে শীতের শুরুতেই দেশের নানা প্রান্ত থেকে পর্যটকরা আসতে শুরু করেছেন তেঁতুলিয়ায়। হিমেল বাতাস আর পাহাড়ঘেরা প্রকৃতি উপভোগ করতে ব্যস্ত তারা। ফলে সীমান্তবর্তী এই জনপদ এখন উৎসবমুখর পরিবেশে মুখরিত।