
যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ানের জন্য ৩৩০ মিলিয়ন ডলারের সম্ভাব্য অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে। এটি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রথম এমন সামরিক লেনদেন হতে যাচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) স্থানীয় সময় রাতে পেন্টাগন জানায়, এই সম্ভাব্য বিক্রির আওতায় তাইওয়ানকে যুদ্ধবিমান—বিশেষ করে এফ-১৬ ও সি-১৩০—এর খুচরা যন্ত্রাংশ ও মেরামত সরঞ্জাম সরবরাহ করা হতে পারে। দাবি, এই সরঞ্জামগুলো তাইওয়ানের বিমানবহরের কার্যকারিতা বজায় রেখে বর্তমান ও ভবিষ্যৎ হুমকি মোকাবিলার সক্ষমতা বাড়াবে।
চীন–তাইওয়ান উত্তেজনার প্রেক্ষাপট
চীন গণতান্ত্রিকভাবে পরিচালিত তাইওয়ানকে নিজের ভূখণ্ড বলে দাবি করে এবং প্রয়োজনে বলপ্রয়োগ করে দ্বীপটির নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার হুমকিও দিয়েছে। তবে তাইওয়ান বারবার বেইজিংয়ের সার্বভৌমত্ব দাবি প্রত্যাখ্যান করে জানিয়েছে, দ্বীপটির ভবিষ্যৎ নির্ধারণের অধিকার কেবল তাইওয়ানের জনগণের।
এই উত্তেজনার মাঝেই প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং তাকে ব্যক্তিগতভাবে আশ্বস্ত করেছেন যে তার (ট্রাম্পের) ক্ষমতায় থাকার সময় চীন তাইওয়ান আক্রমণ করবে না।
বৈঠকের আগে তাইপেতে আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল যে চীনকে সন্তুষ্ট করতে ট্রাম্প হয়তো আলোচনায় তাইওয়ানের স্বার্থ ‘বেচে দিতে’ পারেন। তবে যুক্তরাষ্ট্রের এই অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন তাইওয়ানের প্রতি ওয়াশিংটনের সমর্থনের আরেকটি স্পষ্ট বার্তা হিসেবে দেখা হচ্ছে।
ট্রাম্প–শি বৈঠকের পরই অস্ত্র বিক্রির ঘোষণা
তাইওয়ানের জন্য এই সম্ভাব্য অস্ত্র বিক্রির ঘোষণা আসে গত মাসের শেষে দক্ষিণ কোরিয়ায় ট্রাম্প এবং শি জিনপিংয়ের বৈঠকের পর। ওই বৈঠকে একটি বাণিজ্য চুক্তি নিশ্চিত করার প্রচেষ্টা চলছিল।