
ঈশ্বরদীতে দাফনের আগে গৃহবধূ সফিয়া বেগমের মরদেহ ‘নড়েচড়ে ওঠার’ দাবি ঘিরে এলাকায় চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। পরিবার প্রথমবার তাকে মৃত ঘোষণা করার পর দাফনের প্রস্তুতির সময় শরীরে নড়াচড়া টের পেয়ে আবারও হাসপাতালে নিয়ে যায়। তবে দ্বিতীয়বারেও চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেছেন।
স্থানীয় সূত্র অনুযায়ী, সফিয়া বেগম রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৬টার দিকে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন এবং মরদেহ হস্তান্তর করা হয়। ডেথ সার্টিফিকেটসহ মরদেহ নিয়ে পরিবার ঈশ্বরদীতে আসে এবং ঈশ্বরদী কেন্দ্রীয় গোরস্থানে দাফনের প্রস্তুতি শুরু হয়।
মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) পাবনার ঈশ্বরদী পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের আমবাগান এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। সফিয়া বেগম স্থানীয় ব্যবসায়ী আব্দুস সালামের স্ত্রী।
শেষ গোসল করানোর জন্য মরদেহ প্রস্তুত করার সময় পরিবারের সদস্যরা শরীর কিছুটা গরম অনুভব করেন এবং নড়াচড়ার মতো অবস্থা দেখতে পান। তারা দ্রুত কয়েক চামচ পানি পান করিয়ে গৃহবধূকে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. শাকিব জানান, দ্রুত ইসিজি করে দেখা যায় সফিয়া বেগম তখন জীবিত নন। প্রায় তিন ঘণ্টা আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।
৭ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর আনোয়ার হোসেন জনি বলেন, খবর পেয়ে আমি স্বজনদের সঙ্গে হাসপাতালে যাই। ইসিজি পরীক্ষায় নিশ্চিত হয়েছি মহিলা আগেই মারা গিয়েছিলেন।
মঙ্গলবার আসরের নামাজের পর সফিয়া বেগমের মরদেহ দাফন করা হয়।ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।