
অক্টোবর মাসে সারা দেশে ৪৮৬টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪৪১ জন নিহত এবং ১১২৮ জন আহত হয়েছেন। নিহতের মধ্যে নারী ৫৭ জন এবং শিশু ৬৩ জন।
বুধবার (১৯ নভেম্বর) ‘রোড সেফটি ফাউন্ডেশন’ তাদের প্রকাশিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে। ৯টি জাতীয় দৈনিক, ৭টি অনলাইন নিউজ পোর্টাল, বিভিন্ন ইলেকট্রনিক মিডিয়া ও নিজস্ব তথ্যের ভিত্তিতে এই প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে।
সেপ্টেম্বরের তুলনায় অক্টোবরে দৈনিক প্রাণহানির গড় বেড়েছে ৫ দশমিক ৭৫ শতাংশ। এরমধ্যে সিলেট বিভাগে সবচেয়ে কম দুর্ঘটনা ঘটে। এ বিভাগে ২৬টি দুর্ঘটনায় ২৪ জনের প্রাণহানি।
প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, গত মাসে সর্বাধিক প্রাণহানি ঘটেছে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায়। মোট ১৯২টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১৩৭ জন নিহত হয়েছেন, যা মোট নিহতের ৩১ শতাংশের বেশি। এ ছাড়া ৯৮ জন পথচারী এবং ৬২ জন চালক ও চালকের সহকারী বিভিন্ন দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান। থ্রি-হুইলার, স্থানীয়ভাবে তৈরি যানবাহন, বাস, প্রাইভেটকার ও রিকশা-বাইসাইকেলের মতো যানবাহনও বহু প্রাণহানির কারণ হয়েছে। দুর্ঘটনায় মোট ৭৯১টি যানবাহন সম্পৃক্ত ছিল, যার মধ্যে ট্রাক, বাস, কাভার্ডভ্যান ও মোটরসাইকেলই বেশি।
উপাত্ত বিশ্লেষণে দেখা যায়, দুর্ঘটনাগুলোর অধিকাংশই ঘটেছে জাতীয় ও আঞ্চলিক সড়কগুলোতে। জাতীয় মহাসড়কে ৩৪ দশমিক ১৫ শতাংশ এবং আঞ্চলিক সড়কে ৩০ দশমিক ৪৫ শতাংশ দুর্ঘটনা রেকর্ড করা হয়েছে। শহর ও গ্রামাঞ্চলের রাস্তাগুলোতেও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক দুর্ঘটনা ঘটেছে। মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনা এবং পথচারীদের ধাক্কা দেওয়ার ঘটনাই ছিল দুর্ঘটনার প্রধান ধরন। এ ছাড়া, রাত ও সকালের দিকে দুর্ঘটনার হার তুলনামূলকভাবে বেশি।
রোড সেফটি ফাউন্ডেশন জানিয়েছে, সেপ্টেম্বরে দৈনিক গড়ে ১৩ দশমিক ৯ জন নিহত হলেও অক্টোবরে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪ দশমিক ৭ জনে। অর্থাৎ এক মাসের ব্যবধানে দুর্ঘটনায় মৃত্যু বেড়েছে ৫ দশমিক ৭৫ শতাংশ।
বিভাগ অনুযায়ী পরিসংখ্যানে ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা (১২১ টি) এবং সর্বোচ্চ ১১২ জন নিহত হয়েছেন। অন্যদিকে সিলেট বিভাগে সবচেয়ে কম ২৬টি দুর্ঘটনায় ২৪ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগেও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক প্রাণহানি রেকর্ড করা হয়েছে।