অনেকেই কিলিয়ান এমবাপ্পেকে অহংকারী বলে থাকেন। কিন্তু রিস্তো স্তইচকভের চোখে ফরাসি এই ফুটবলার খুবই বিনয়ী। তিনি বলেন, ‘কিলিয়ান দারুণ একজন মানুষ, খুবই বিনয়ী। কেউ কেউ বলে, সে নাকি উদ্ধত, কিন্তু সে তেমন নয়। সে জানে সে কী করতে চায়। আশা করি, একদিন না একদিন কিলিয়ান ব্যালন ডি’অর জিততে পারবে। এটা তার প্রাপ্য।’
ছোটবেলায় ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোসহ রিয়াল ফুটবলারদের ছবি রুমের দেয়ালে টানিয়ে রাখতেন কিলিয়ান এমবাপ্পে । শৈশবের প্রথম প্রেম রিয়াল মাদ্রিদ।
রয়্যাল হোয়াইট জার্সি গায়ে জড়ানোর ছোটবেলার স্বপ্ন আজও লালন করেন কিলিয়ান। তাইতো প্রত্যেক মৌসুমেই রিয়াল মাদ্রিদে যাওয়ার চেষ্টা করেন তিনি। এবারও রয়েছেন সেই প্রচেষ্টায়। এমবাপ্পের সেই তাড়নাকে এবার আরো তাতিয়ে দিলেন বুলগেরিয়ান ফুটবল গ্রেট রিস্তো স্তইচকভ। বললেন, সেরা হতে চাইলে ফ্রান্স ত্যাগ করতে হবে এমবাপ্পেকে। যোগ দিতে হবে স্প্যানিশ লা লিগা কিংবা ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগে।
এরইমধ্যে এমবাপ্পেকে ছাড়াই প্রাক মৌসুম সফরের দল ঘোষণা করেছে লা প্যারিসিয়ানরা। বলা যায়, দুই পক্ষের সম্পর্কের টানাপোড়েনে বিচ্ছেদের দিকেই এগোচ্ছে। এরইমধ্যে এমবাপ্পেকে ‘সেরা হওয়ার’ রাস্তা দেখালেন বুলগেরিয়ান কিংবদন্তি রিস্তো স্তইচকভ। ১৯৯৪ বিশ্বকাপের এই সর্বোচ্চ গোলদাতা বলেন, ‘এমবাপ্পে যদি আরো ভালো করতে চায়, তবে তার স্প্যানিশ লীগ কিংবা প্রিমিয়ার লীগে যেতে হবে। ইংল্যান্ডে তাকে দলে টানতে ম্যানচেস্টার সিটি, লিভারপুল এবং আর্সেনালের মতো ক্লাব আছে। তবে তার উচিত হবে সেখানে যাওয়া, যেখানে সে স্বাচ্ছন্দ্যে থাকবে। কারণ, কাজটা সহজ নয়। অনেক চাপ থাকবে। ওই চাপ নিয়েই তাকে এগিয়ে যেতে হবে।’
এমবাপ্পের স্বপ্নের কথা জানিয়ে স্তইচকভ বলেন, ‘সে অসাধারণ একজন খেলোয়াড়। তার সঙ্গে আমি কথা বলেছি। সে আমাকে বলেছে, তার সবচেয়ে বড় স্বপ্ন হলো ব্যালন ডি’অর জেতা। তার মানের খেলোয়াড় হওয়া খুবই কঠিন, আরো বেশি কঠিন হলো ওই মান ধরে রাখা।’
পিএসজির সঙ্গে চুক্তি নবায়ন করতে চান না কিলিয়ান এমবাপ্পে। কন্ট্রাক্টের মেয়াদ শেষে ছাড়তে চান প্যারিস। তবে চুক্তি নবায়ন না করলে চলতি ট্রান্সফার উইন্ডোতেই ফরাসি ফরোয়ার্ডকে বিক্রি করে দিতে চায় পিএসজি।
রিস্তো স্তইচকভের ভাষ্য, সেরাদের সেরা হতে আর্লিং ব্রট হালান্দ, ভিনিউস জুনিয়রদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হবে এমবাপ্পেকে। বার্সেলোনার সাবেক ফুটবলার রিস্তো বলেন, ‘আমার সময়ে রবার্তো বাজ্জো, লাইড্রপ, আমি, মিশেল, বুত্রাগুয়েনো, ক্লিন্সম্যান ও ম্যাথিউসের মতো বড় খেলোয়াড়রা ছিলেন। এরপর এলো মেসি ও ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো মতো দুই ফেনোমেনা, যাদের লড়াইটা চিরন্তন। আর এখন আসছে একঝাঁক তরুণ খেলোয়াড়- হালান্দ, এমবাপ্পে, ভিনিসিউস, পেদ্রি, গাভি। সামনের বছরগুলোতে হালান্দ, এমবাপ্পে ও ভিনিসিউসদের মধ্যে দারুণ লড়াই হবে। এরাই ভবিষ্যতে পার্থক্য গড়ে দেবে।