
বড়লেখায় অবৈধভাবে প্রাকৃতিক টিলা কেটে মাটি বিক্রির দায়ে ৩ ব্যক্তির ১ জনকে ৩ মাসের ও অপর দুইজনকে ২ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
দণ্ডিতরা হলেন-ট্রাক্টর মালিক ময়নুল ইসলাম, ট্রাক্টর চালক নাজমুল ইসলাম ও এমাদ উদিন। এরা সবাই উপজেলার উত্তর শাহবাজপুর ইউনিয়নের শ্রীধরপুর গ্রামের বাসিন্দা।
রবিবার বিকেলে সহকারি কমিশনার (ভূমি) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জাহাঙ্গীর হোসাইন এই দণ্ড দেন। পরে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, পরিবেশ আইন অমান্য করে রোববার সকাল থেকে শ্রীধরপুর গ্রামের লালমাটি নামক স্থানের একটি প্রাকৃতিক টিলা কেটে অবৈধ ট্রাক্টরে মাটি পরিবহণ করছিলেন ট্রাক্টর মালিক ময়নুল ইসলাম, ট্রাক্টর চালক নাজমুল ইসলাম, এমাদ উদ্দিনসহ আরো কয়েকজন টিলাখেকো। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দুপুরে থানা পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে অভিযান চালান সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জাহাঙ্গীর হোসাইন। অভিযানের টের পেয়ে অন্যরা পালিয়ে গেলেও টিলার মাটি পরিবহনে নিয়োজিত দুইটি ট্রাক্টরসহ তিনজনকে আটক করে ট্রাক্টর মালিক ময়নুল ইসলামকে ২ লাখ টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড, ট্রাক্টর চালক নাজমুল ইসলাম ও এমাদ উদ্দিনকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে ২ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন। অর্থদণ্ড পরিশোধে ব্যর্থ হওয়ায় বিকেলে তাদেরকে কারাগারে পাঠান ভ্রাম্যমাণ আদালত।
অভিযোগ রয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে তারা নির্বিচারে পাহাড় টিলা কেটে মাটি বিক্রি করছিল। গত মাসে একই স্থান থেকে অবৈধ টিলা কাটার দায়ে দিনার আহমদ নামে একজন ট্রাক্টর মালিককে ২ লাখ টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এরপরেও টিলা কর্তন বন্ধ করছে না অসাধু পাহাড়-টিলা খেকো চক্র।
সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জাহাঙ্গীর হোসাইন জানান, ভ্রাম্যমাণ আদালত চালিয়ে অবৈধ টিলা কাটার অপরাধে তিন ব্যক্তির দুইজনকে ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড, অনাদায়ে ২ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও একজনকে ২ লাখ টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন। পরিবেশ রক্ষায় প্রশাসনের এধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে।