অন্তর্র্বতী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বিদেশি গণমাধ্যমকর্মীদের নিয়ে ‘আয়নাঘর’ পরিদর্শনে গেছেন ।
গণমাধ্যমে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের একজন সদস্য।
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে পরিদর্শন শুরু করেন। রাজধানীর আগারগাঁও, কচুখেত ও উত্তরা এলাকায় গেছেন তারা।
তিনি জানান, এ নিয়ে দুপুর আড়াইটার দিকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানানো হবে।আয়নাঘর যাতে কেউ ধ্বংস করতে না পারে, প্রমাণ হিসেবে রাখতে সিলগালার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।
পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ড. ইউনূস বলেন, আপনারা সবাই সঙ্গে ছিলেন, কাজেই আমার নতুন করে কিছু বলতে হবে না। এটার বর্ণনা যদি বলতে হয়, তাহলে বলব এটা বীভৎস দৃশ্য। যারা নিগৃহীত হয়েছে, যারা এটার শিকার হয়েছে তারা আমাদের সঙ্গেই আছেন, তাদের মুখের থেকেই শুনলাম কী হয়েছে। এটার কোনো ব্যাখ্যা নেই।
তিনি আরও বলেন, ‘এরকম টর্চার সেলের সংস্করণ সারা বাংলাদেশ জুড়ে নাকি আছে। কেউ বলে ৮০০, কেউ বলে ৯০০। গত সরকার আইয়ামে জাহেলিয়া প্রতিষ্ঠা করে গেছে সর্বক্ষেত্রে, এটা তার একটা নমুনা।
তিনি আরও বলেন, এখন শুনি বাংলাদেশজুড়েই আরও ২৭-২৮টি আয়নাঘর আছে। আমার ধারণা ছিল শুধু এখানেই আছে। এগুলোর সংখ্যাও নিরূপণ করা যায় না, কতটা জানা আছে, কতটা অজানা আছে।
তিনি বলেন, মানুষের মনুষ্যত্ববোধ বলে যে কোনো জিনিস আছে সেটার থেকে বহু দূরে গভীরে নিয়ে গেছে আয়নাঘরের এই বিভৎস দৃশ্য। নৃশংস প্রতিটি জিনিস হয়েছে এখানে। যতটা শুনি অবিশ্বাস্য লাগে যে এটা কি আমাদেরই দেশ, আমাদেরই জগৎ?
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, বিনা কারণে জঙ্গি আখ্যায়িত করে মানুষকে তুলে এনে এসব টর্চার সেলে নির্যাতন করা হতো।
গুম কমিশনকে এসব আয়নাঘর আবিষ্কার করার জন্য ধন্যবাদ জানান প্রধান উপদেষ্টা।
গত বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টার দেশি-বিদেশি গণমাধ্যম কর্মীদের নিয়ে ‘আয়নাঘর’ পরিদর্শনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।