বিশ্বন্দিত মুফাসসিরে কুরআন আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী স্মরণে লন্ডনে তাৎক্ষনিক শোকসভার আয়োজন করেছে নিরাপদ বাংলাদেশ চাই ইউকে। গত সোমবার (১৪
আগষ্ট) বিকাল সাড়ে ৬ ঘটিকার পূর্ব লন্ডনের আলতাব আলী পার্কে উক্ত শোকসভা অনুষ্ঠিত হয়। কুরআনের পাখি আল্লামা সাঈদীর মৃত্যুর খবরে শুনে শত শত ধর্মপ্রাণ মুসল্লিগণ শোকসভায় অংশ নেন। এক পর্যায়ে শোকসভাটি প্রতিবাদ সভায় রূপ নেয়।
নিরাপদ বাংলাদেশ চাই ইউকের সভাপতি মুসলিম খানের সভাপতিত্বে ও সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা এনামুল হকের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভার শুরুতে পবিত্র কুরআন
থেকে তেলাওয়ালা করেন মোহাম্মদ আলী। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ইউরোপ জামায়াতে মুখপাত্র ব্যারিস্টার আবু বক্কর মোল্লা। প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট সাংবাদিক সপ্তাহিক সুরমা পত্রিকার সম্পাদক শামসুল আলম লিটন। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক ওলীউল্লাহ নোমান, সিলেট জেলা ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মুনিম, সিলেট মহানগর ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি শাহরিয়ার আলম শিপার।
শোকসভায় নেতৃবৃন্দ বলেন, আল্লামা সাঈদীকে বিনা চিকিৎসায় পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। হাসপাতালের চিকিৎসায় অবহেলা এবং পরিবারের সদস্যদের দেখা করতে না দেয়ার বিষয়টি তদন্ত করে দেখার জন্য দেশী বিদেশী মানবাধিকার সংগঠনের প্রতি আহ্বান জানান তারা। সভায় নিরপেক্ষ কেয়ারটেকার সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহাল ও ক্ষমতাসীন সরকারকে বিদায় করতে দেশপ্রেমিক জনতার প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ব্যারিস্টার আবু বক্কর মোল্লা বলেন, মিথ্যা অভিযোগে কারাগারে বন্দি রেখে সঠিক চিকিৎসা না দিয়ে আল্লামা সাঈদী হত্যা করা হয়েছে, এজন্য আমারা আন্তর্জাতিক তদন্ত দাবি করছি।
প্রধান বক্তা সামছুল আলম লিটন বলেন, আল্লামা দেলোয়ার হোসেন সাঈদী রাজাকার ছিলেন না এটা বার বার বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনের রিপোর্টে প্রকাশ হয়েছে। সরকার পরিকল্পিত ভাবে আল্লামা সাঈদীকে হত্যা করেছে।
বক্তব্য রাখেন নিরাপদ বাংলাদেশ চাই ইউকে (এনবিসি ইউকে)’র সহ-সভাপতি মো: আসয়াদুল হক, আলী হোসাইন, মো: তরিকুল ইসলাম, আমিনুল ইসলাম মুকুল, আসাদুজ্জামান শাফি, সহ-সেক্রেটারী আরিফ আহমদ ও সাংগঠনিক সম্পাদক মোর্শেদ আহমদ খান।
বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন, কমিউনিটি নেতা সাইফুর রহমান পারভেজ, জাস্টিজ ফর ভিকটিম সভাপতি জহিরুল ইসলাম, এনবিসি ইউকের সহ-সেক্রেটারী মো: ইকবাল হুসেন, ইউসুফ আল আজাদ, মো: শাহাব উদ্দিন, শেখ আবুল ফাত্তাহ, মির্জা সাইফুল, রায়হান আহমদ, এবাদুর রহমান, মো: শরিফ আহমদ মোরশেদ, অলিউর রহমান, মো: আমিনুল ইসলাম সফর, সাবের আহমদ, মো: আলম আহমদ, মো: ফরহাদ আলী, ওয়াকিল আহমদ, এস এম রেজাউল করিম, মনিরুজ্জামান খান, রোহান তারিক, মো: ইশতিয়াক, মাওলানা আব্দুল্লাহ, মাহমুদ হোসাইন ও হুমায়ুন আহমদ, এনবিসি ইউকের সাবেক সভাপতি শামীমুল হক, নির্বাহী সম্পাদক মো: ফান্টু, রফিক আহমদ, মোছা: নিপা
বেগম, সুমেনা বেগম, মো: মিজানুর মিয়া, কাওছার আহমেদ চৌধুরী, জাকির হোসেন মিল্লাত, ফাহাদুজ্জামান, মো: আমিনুর রহমান, আজিজ আহমদ চৌধুরী, তারেক
আহমদ, মোহাম্মদ মাজেদ হোসেন, মো: কামরুল হাসান ভুঁইয়া, রেজাউল করিম, জাহেদ আহমদ, নাইম আহমদ, ছালেহ আহমদ, হোসাইন খান, নুরুল ইসলাম মাসুদ, মাহফুজুর রহমান খান, মনসুরুল হাসান জাকারিয়া, রাকিবুল, সায়েম, মো: রাদেল আহমদ, সাহেল আকরাম, মাহিম আহমদ, মোহাম্মদ মোশাররফ হোসাইন, এমদাদুল হক, আবু সুফিয়ান, ফাহাদ আহমদ মিল্লাত, আকবর হোসাইন, রবিউল, মাহের আর রহমান, মো: আমিনুল ইসলাম খান, সুবাদুল ইসলাম চৌধুরী, মো: জাহাঙ্গীর আলম সোহাগ, শুরাহিম, জাকিরুল ইসলাম, শাহজাহান আহমদ, সায়েম আহমদ, মো: ইসলাম উদ্দিন, মো: রাইহান মিয়া, নুরুজ্জামান আহমদ, মো: নাজমুল ইসলাম সোহাগ, কামরুল হাসান নাসিম, ওমর ফারুক ইমন, মো: আজিজুল হক, মারুফ আহমদ, মো: নাজমুল হোসেন সোহাগ, মো: আবুল কাশেম, মো: আবুল কালাম আজাদ, মো: আশরাফুল ইসলাম, মো: ছাদ মিয়া, মো: তাজুল ইসলাম, হেলাল ইসলাম, মো: ইকবাল হোসেন, মি: মাধব, মো: সোয়েব ইসলাম, বিপ্লব মাহমুদ, মো: তৌহিদুল ইসলাম, রুহুল আমিন রাসেল, মো: নেছার মিয়া, নুরুল আমিন, মুক্তাদির আহমদ, মির্জা মহি উদ্দীন, মো: শামছুল ইসলাম কবির, মনোয়ার হোসাইন ময়না, আশেক ইসলাম খান, সাহেল আহমদ, কাওছারুল আম্বিয়া, সোহেল আহমদ, এনামুল হক, মো: জুয়েল আহমদ, সালেহ আহমদ, আসাদুজ্জামান সাকিব, মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম, জাকারিয়া, মো: মাসুম মিয়া, শাহিন আহমদ, আমিরুল মোমিন রেজা, মাহমুদ হোসাইন, আব্দুল্লাহ আল জাবের, তায়েবা বেগম ও রুবিনা বেগম প্রমুখ।
সভাপতির বক্তব্যে নিরাপদ বাংলাদেশ চাই ইউকে’র সভাপতি মুসলিম খান বলেন, আল্লামা সাঈদীর মৃত্যুতে আমরা একজন কুরআনের খাদেমকে হারালাম। সরকার আদর্শিক মোকাবেলায় ব্যর্থ হয়ে ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় আল্লামা সাঈদীকে ফরমায়েসী সাজা দিয়ে এক যুগেরও বেশী সময় কারাগারে আটকে রেখেছে। বিনা চিকিৎসায় তাকে মৃত্যুর মূখে ঠেলে দিয়েছে। হাসপাতালে ভর্তির পর থেকে কর্তৃপক্ষ তার চিকিৎসা নিয়ে লুকোচুরি খেলেছে। পরিবারের সদস্যদের সাথে দেখা করা থেকে বিরত রাখা হয়েছে। যা আইন ও মানবাধিকারের সুস্পষ্ট লংঘন। এ বিষয়টির আর্ন্তজাতিক তদন্তের বিকল্প নেই। তাই এব্যাপারে মুসলিম কমিউনিটিকে স্বোচ্চার হতে হবে।