
একটা কুইক টি-টোয়েন্টি ইনিংস’ খেলতে এসেছেন বলেছিলেন, ফারুক আহমেদের বিদায়ের পর বিসিবি সভাপতির দায়িত্ব নেওয়ার পর আমিনুল ইসলাম বুলবুল । তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নিজের পরিকল্পনা বদলে ফেলেছেন তিনি।
আগামীকাল অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া বিসিবির পরিচালনা পরিষদের নির্বাচনে অংশ নিতে যাচ্ছেন তিনি।
তবে ক্লাব সংগঠকদের অনেকেই নির্বাচনে সরকারি হস্তক্ষেপ এবং যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বুলবুলকে সমর্থন করছে এই অভিযোগ তুলে মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন। তবে এসব অস্বীকার করেছেন বুলবুল।
রোববার (৫ অক্টোবর) মিরপুরে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, এখানে আমার কাছে (সরকারের) প্রভাব কিছু মনে হয়নি। আমার মনে হয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য আমার (বিসিবিতে) চালিয়ে যাওয়া দরকার। আমাকে যারা ভোট দিচ্ছেন বা ভোট দেবেন না অথবা আপনারা (সাংবাদিক) যারা আছেন যদি মনে করেন আমি যথেষ্ট ভালো না, আমি চলে যেতে আগ্রহী আছি যেকোনো সময়। একই সঙ্গে এটাও বলতে চাই, আমার একটাই লক্ষ্য—বাংলাদেশ ক্রিকেট।
তিনি আরও বলেন, গত মেয়াদে ক্রীড়া উপদেষ্টা আমাকে সহযোগিতা করেছেন। তাকে ধন্যবাদ দিতে চাই—তিনি মন্ত্রী পদমর্যাদার মানুষ। আপনি বলছিলেন বয়কটকারীদের কথা। আমি নিজে জানি, তিনি রাত-দিন কাজ করেছেন—শুধু সুষ্ঠু নির্বাচন নয়, একটি ভালো বোর্ড গঠনের জন্যও।
এ নিয়ে আমিনুল বলেন, এই মুহূর্তে ক্লাবের বিকল্প নেই। ক্রিকেটে তাঁদের অবিশ্বাস্য অবদান আছে। তাদের ভূমিকা, প্রয়োজনীয়তা, অবদান—সবকিছুই আমরা তুলে ধরব। চেষ্টা করব তাঁদের ম্যানেজ করতে। ঘুরেফিরে আমরা তো একই সমাজের মানুষ, হয়তো পারব।
সরকারি হস্তক্ষেপসহ বিভিন্ন অভিযোগ তুলে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছে ক্লাব ও বিভাগ থেকে প্রার্থী হওয়া এক পক্ষ। তাঁদের মধ্যে আছেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবালও। গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে—নির্বাচন পিছিয়ে না দিলে ৪৮টি ক্লাব কোনো ধরনের ক্রিকেটে অংশ নেবে না।
উল্লেখ্য, ঢাকা জেলা ক্রীড়া সংস্থা থেকে কাউন্সিলর হয়ে ক্যাটাগরি-১ থেকে মনোনয়ন তুলেছেন আমিনুল। বিসিবির গঠনতন্ত্র অনুসারে পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচন মূলত তিনটি ক্যাটাগরিতে অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। জেলা ও বিভাগ থেকে ১০ জন পরিচালক নির্বাচিত হন নিজ নিজ বিভাগের কাউন্সিলরদের ভোটে।
ক্লাব ক্যাটাগরিতে ১২ জন পরিচালক নির্বাচিত হবেন ৭৬ জন কাউন্সিলরের ভোটে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও সংস্থা নিয়ে গঠিত তৃতীয় ক্যাটাগরির ৪৫ জন কাউন্সিলরের ভোটে পরিচালক হবেন একজন। পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচন শেষে ২৫ পরিচালকের ভোটে হবে সভাপতি নির্বাচন।
ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনা বিভাগ থেকে দুজন করে এবং বরিশাল, সিলেট, রাজশাহী ও রংপুর থেকে একজন করে পরিচালক হবেন। এই ক্যাটাগরিতে মোট কাউন্সিলর ৭১ জন।