
রাইজিংসিলেট- নেত্রকোণার মোহনগঞ্জ উপজেলার সুয়াইর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুল হাসান সেলিম (৬৬) এলাকাবাসীর হাতে আটক হওয়ার পর পুলিশের কাছে সোপর্দ হয়েছেন। এ ঘটনা ঘটে বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে উপজেলার নলজুরী এলাকায়।
স্থানীয়দের ভাষ্য অনুযায়ী, চেয়ারম্যান সেলিম দীর্ঘদিন ধরে আত্মগোপনে ছিলেন। ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর থেকে তিনি ইউনিয়ন পরিষদে অনুপস্থিত থাকায় পরিষদের কার্যক্রমে স্থবিরতা দেখা দেয়। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করে পরিষদের অন্য সদস্যরা তার বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব দেন।
সম্প্রতি তাকে পুনরায় পরিষদের কার্যক্রমে সক্রিয় করতে উদ্যোগ নেয় কিছু বিএনপি-সমর্থিত ব্যক্তি, যার মধ্যে ছিলেন গোলাম ফারুক তানভীর ও মাহমুদুর রহমান কাওসার। বৃহস্পতিবার দুপুরে তারা সেলিমকে নিয়ে একটি অটোরিকশায় করে এলাকায় প্রবেশ করেন। তখন স্থানীয় লোকজন তাদের পথরোধ করে চেয়ারম্যানকে আটক করে। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে তার সঙ্গে থাকা রাজনৈতিক নেতারা সরে পড়েন।
ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়, লুঙ্গি পরা অবস্থায় সেলিম অটোরিকশায় বসে আছেন এবং স্থানীয়রা তাকে ঘিরে রেখেছেন।
মোহনগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আমিনুল ইসলাম জানান, চেয়ারম্যান কামরুল হাসান সেলিম উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য। তাকে পূর্বের একটি নাশকতা মামলার ভিত্তিতে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। কেউ কেউ বলছেন, বিএনপি নেতাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করা আওয়ামী লীগ-সমর্থিত ব্যক্তিদের কারণেই দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে। এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি উঠেছে।
জানা গেছে, আটক হওয়া চেয়ারম্যান সেলিম নেত্রকোণা-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সাজ্জাদুল হাসানের চাচাতো ভাই।