
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী মন্তব্য করে বলেন,ব্যক্তিগতভাবে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের কল রেকর্ড রাখাটা ‘বেআইনি ও ব্ল্যাকমেইলিং।
একটি ইসলামিক দলের নেতা বলেছেন, ‘তাদের কাছে উপদেষ্টাদের কলরেকর্ড আছে, তা ফাঁস করবেন।’ এখানে জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, উপদেষ্টাদের কলরেকর্ড একজন রাজনৈতিক ব্যক্তির কাছে গেলো কীভাবে? উপদেষ্টাদের কল রেকর্ড কোনো ব্যক্তির নিকট থাকাটা বেআইনি ও ব্লাকমেইলিং।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) রাজধানীর কামরাঙ্গীচর এলাকায় অসুস্থ শিশু হুনাইফার চিকিৎসার জন্য বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে সহায়তা পৌঁছে দিতে গিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলা সময় এ মন্তব্য করেন তিনি।
বিএনপির সিনিয়র এ নেতা বলেন, আমাদের সবচাইতে বড় যে বিষয়টি ছিল, সেটি হচ্ছে জুলাই সনদ নিয়ে একটি চূড়ান্ত পর্যায়ে এসে উপনীত হওয়া। তারপরেও অনেক অমীমাংসিত বিষয়ের কথা বলা হয়েছে। অনেক নোট অব ডিসেন্টের কথা বলা হয়েছে। গণভোট নিয়ে অহেতুক বিতর্কও তৈরি করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, আমরা একটি জটিল পরিস্থিতি অতিক্রম করছি। ফ্যাসিস্টরা বিদায়ের পরে বাংলাদেশকে আমরা মানবিক বাংলাদেশ করব, এটা ছিল আমাদের অঙ্গীকার; যাতে কোনো অসহায় মানুষ বিনা চিকিৎসায় ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।
রিজভী আরও বলেন, গণতন্ত্রের পথে দ্রুত হেঁটে যাওয়ার ক্ষেত্রে যদি অন্তরায় তৈরি হয়, তাহলে ফ্যাসিস্টদের কোনো এক গোষ্ঠী উপকৃত হবে।
তিনি বলেন, এগুলো কেন করা হচ্ছে, কেন এই বিরোধ তৈরি করা হচ্ছে— এটা আমরা জানি না। এখানে প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দল জুলাই সনদ দিয়ে যখন একটি ঐক্যে আসার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে, তখন আবার ছোটখাট বিষয় নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করা হচ্ছে। গণভোট এবং অন্যান্য ছোট ছোট বিষয় নিয়ে এবং অনেকগুলো নোট অব ডিসেন্ট দিয়ে এই বিলম্ব করা জনগণ ভালোভাবে নিচ্ছে না।