
রাইজিংসিলেট- মুচমুচে খাবারের সেই তৃপ্তিদায়ক ‘ক্রাঞ্চ’ শুধু একটি শব্দ নয়- এটি আমাদের মস্তিষ্কের আনন্দ সিস্টেমে সরাসরি কাজ করে। গবেষণায় দেখা গেছে, খাবারের শব্দ স্বাদের অভিজ্ঞতা, সতেজতার ধারণা এবং খাবারের মান নির্ধারণে অবাক করা প্রভাব ফেলে। নরম খাবারের তুলনায় খাস্তা খাবারের প্রতি আমাদের টান তৈরি হয় মনস্তত্ত্ব, বিবর্তন এবং আধুনিক খাবারের সাউন্ড ডিজাইনের কারণে।
খাবারের শব্দ কীভাবে আমাদের খাওয়ার অভিজ্ঞতা বদলে দেয়
আমরা স্বাদ ও গন্ধকে খাবারের প্রধান উপাদান মনে করি, কিন্তু শব্দও সমান গুরুত্বপূর্ণ। মুচমুচে শব্দ আমাদের মস্তিষ্ককে জানায় যে খাবারটি সতেজ। একই স্বাদের খাবার হলেও যদি সেটি খাস্তা হয়, আমরা সেটিকে আরও আকর্ষণীয় মনে করি।
মনোবিজ্ঞানের গবেষণায় দেখা গেছে—একই খাবারের ক্রাঞ্চ শব্দ সামান্য বাড়ালেই সেটিকে আরও সতেজ, খাস্তা ও সুস্বাদু মনে হয়।
বিবর্তনের সঙ্গে মুচমুচে খাবারের সম্পর্ক
প্রাচীনকালেও মানুষ খাবারের সতেজতা যাচাই করত শব্দের মাধ্যমে। ফল, শাকসবজি বা শিকারজাত খাবারে ক্রাঞ্চি টেক্সচার মানেই ছিল উচ্চ জলীয় অংশ, সতেজতা এবং নিরাপত্তা। সেই স্বাভাবিক প্রবণতা এখনো আমাদের মস্তিষ্ক ধরে রেখেছে। তাই খাস্তা শব্দ শুনলেই মস্তিষ্কে তৈরি হয় সাইকোলজিক্যাল তৃপ্তি।
খাবারের সাউন্ড ডিজাইন ও বাণিজ্যিক কৌশল
জনপ্রিয় খাবারের ব্র্যান্ডগুলো জানে—ক্রাঞ্চ মানুষের কাছে কতটা লোভনীয়। তাই তারা বিজ্ঞাপন, প্যাকেট ডিজাইন, ব্যাগ খোলার শব্দ, ক্র্যাকল, এমনকি খোলা প্যাকেটের আওয়াজ পর্যন্ত বিশেষভাবে তৈরি করে। এসব সাউন্ড ইফেক্ট আমাদের খাবার খাওয়ার আগ্রহ আরও বাড়ায়।
মুচমুচে খাবারের প্রতি আমাদের টান কেন বাড়ে
স্বাদ, গন্ধ, স্পর্শের মতো শব্দও খাবার সম্পর্কে আমাদের আলাদা সংকেত দেয়। একাধিক ইন্দ্রিয় কাজ করায় খাওয়ার অভিজ্ঞতা আরও উপভোগ্য হয়ে ওঠে। তাই মুচমুচে খাবারের প্রতি আমাদের এক ধরনের স্বাভাবিক আসক্তি তৈরি হয়।