
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের চূড়ান্ত দিন ৫ আগস্ট সকালে বানিয়াচং উপজেলা সদরে শেখ হাসিনার পদত্যাগ দাবিতে বিক্ষোভ মিছিলে একটি বুলেট এসে তকবিরের পেটে লাগে। বুলেটটি মেরুদণ্ডের নিচের অংশে আটকে যায়। এরপর থেকে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন তকবির। কিন্তু উন্নতি হয়নি একটিও। তার চিকিৎসা ব্যয় মেটাতে গিয়ে এখন সর্বস্বান্ত পরিবার।
হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার রঘু চৌধুরীপাড়ার ইসমাঈল মিয়ার ছেলে তকবির মিয়া। স্থানীয় জনাব আলী কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র। বাবা ফার্নিচার শ্রমিক। মা-বাবা আর ৪ বোন ও ৪ ভাইয়ের পরিবারে তকবিরকে নিয়ে স্বপ্ন সবার। পড়ালেখা শেষ করে প্রতিষ্ঠিত হবে নিজের মতো করে। কিন্তু একটি বুলেটের আঘাতে এখন সব স্বপ্ন শেষ হতে চলেছে। লড়াই করছে মৃত্যুর সঙ্গে! চিকিৎসা করাতে গিয়ে প্রায় ‘পথে বসেছে’ পরিবার। তবুও মিলছে না আশার আলো।
জানা গেছে, পরিবারের উপার্জনের একমাত্র মাধ্যম সিএনজিচালিত অটোরিকশা বিক্রি করে প্রাথমিক চিকিৎসা করানো হয়েছে তাকে। সিএমএইচসহ দেশের বড় বড় সরকারি হাসপাতাল ঘুরলেও আশার আলো দেখাতে পারেনি কেউ। বিদেশে চিকিৎসা করার সামর্থ্যও নেই। এমন পরিস্থিতে দিশেহারা পরিবার।
তকবিরের বড় ভাই তানভির বলেন, ছোট ভাইয়ের চিকিৎসা করাতে আমাকে এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতাল যেতে হচ্ছে। চিকিৎসা ব্যয় আমাদের পক্ষে বহন করা সম্ভব না।
তকবিরের মা ফুলবাহার বেগম বলেন, আমার ছেলে দেশের জন্য যুদ্ধ করতে গিয়েছিল। এখন তাকে নিয়ে আমরা পুরো পরিবার যুদ্ধ করছি। জানি না আমার ছেলে বাঁচবে না মরবে। অটোরিকশাটি বিক্রি করায় বাকি জীবন কিভাবে চলব তা ভেবে দিশাহারা হয়ে পড়েছি।