ঢাকারবিবার , ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  1. অর্থনীতি
  2. আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. আরো
  5. খেলার খবর
  6. গণমাধ্যম
  7. চাকরির খবর
  8. জাতীয়
  9. দেশের খবর
  10. ধর্ম পাতা
  11. পরিবেশ
  12. প্রবাস
  13. প্রেস বিজ্ঞপ্তি
  14. বিজ্ঞান প্রযুক্তি
  15. বিনোদন
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ছাতকে আ.লীগ নেতার বাড়ির সামনে বিপুল অ স্ত্র উদ্ধার পুলিশের রহস্যজনক ভূমিকায় তোলপাড়

rising sylhet
rising sylhet
সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২৫ ৫:১৬ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ads

ছাতক (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি:সুনামগঞ্জের ছাতকে এক আওয়ামী লীগ নেতার বাড়ির সামনে থেকে আগ্নেয়াস্ত্রসহ বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় ছাতক থানা পুলিশের ভূমিকা নিয়ে তীব্র বিতর্ক ও রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। যৌথ বাহিনীর অভিযানে অস্ত্র উদ্ধারের মতো গুরুতর ঘটনার পর সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে নতুন কোনো অস্ত্র মামলায় আসামি না করে একটি পুরোনো নাশকতার মামলায় সন্দেহভাজন হিসেবে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। এ নিয়ে উপজেলা জুড়ে আলোচনা সমালোচনা ঝড় বইছে। লক্ষ টাকার বিনিময়ে পুলিশের সঙ্গে আঁতাত করে এই আওয়ামী লীগ নেতাকে গুরুতর অভিযোগ থেকে রেহাই দেওয়া হয়েছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) ভোররাতে উপজেলার দক্ষিণ খুরমা ইউনিয়নের খুরমা গ্রামে সেনাবাহিনী ও ছাতক থানা পুলিশের একটি যৌথ টহল দল অভিযান চালায়। এসময় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল খালিকের বসতবাড়ির খড়ের গাদার সামনে থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় ১টি দেশীয় রিভলবার, ১টি পাইপ গান, ২টি কার্তুজ এবং ৭টি দেশীয় ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ছাতক থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি নং-১২৩৭, তারিখ-২৬/০৯/২০২৫) করা হয়। ঘটনার সবচেয়ে উদ্বেগজনক মোড় নেয় আসামি গ্রেপ্তারের পর। অস্ত্র উদ্ধারের একদিন পর, শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাতে আব্দুল খালিককে গ্রেপ্তার করা হলেও, তাকে অস্ত্র আইনের কোনো মামলায় আসামি দেখানো হয়নি। এর পরিবর্তে তাকে ছাতক থানার একটি পুরোনো নাশকতার মামলায় (মামলা নং-২৮, তারিখ-২২/০৭/২০২৫; বিশেষ ক্ষমতা আইন) সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে আদালতে প্রেরণ করা হয়। আব্দুল খালিকের বিরুদ্ধে গুরুতর অপরাধের ইতিহাস রয়েছে। ১৯৯৯ সালে সাবেক আওয়ামী লীগের সরকারের সাবেক এমপি মহিবুর রহমান মানিকের সংবর্ধনা সভায় প্রকাশ্য গোলাগুলিতে তার নেতৃত্বে বন্দুক দিয়ে গুলি করা হয়েছিল। এতে অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন। এছাড়াও, প্রবাসীসহ এলাকার লোকজনের জায়গা-বাড়ি জোরপূর্বক দখল এবং অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ত্রাস সৃষ্টির অভিযোগ রয়েছে। এলাকায় তাকে চিহ্নিত সন্ত্রাসী হিসেবেও জানা যায়।

এলাকায় জোরালো অভিযোগ উঠেছে, মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে থানা পুলিশের সঙ্গে আব্দুল খালিকের রফা হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে থানা পুলিশ তার কাছ থেকে মাসোয়ারা (মাসিক চাঁদা) আদায় করত এবং এই আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমেই তাকে অস্ত্র মামলার মতো গুরুতর অভিযোগ থেকে বাঁচিয়ে অপেক্ষাকৃত দুর্বল একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে, যা পুরো অস্ত্র উদ্ধার অভিযানকে ধামাচাপা দেওয়ার সামিল বলে মনে করছেন অনেকে। পুলিশের বিরুদ্ধে আসামির রাজনৈতিক পরিচয় গোপনেরও অভিযোগ উঠেছে। আব্দুল খালিক ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হওয়া সত্ত্বেও পুলিশের পক্ষ থেকে দেওয়া তথ্য বিবরণীতে তার রাজনৈতিক পরিচয় উল্লেখ করা হয়নি, যা ঘটনাটিকে আরও বেশি সন্দেহজনক করে তুলেছে। এছাড়া, গ্রেপ্তারের পর তাকে জেলহাজতের ভেতরে শিশু ও মহিলা সেলে রেখে বিশেষ সুবিধা দেওয়া হয়েছে বলেও একটি গুরুতর অভিযোগ রয়েছে, যদিও পুলিশ কর্তৃপক্ষ বিষয়টি অস্বীকার করেছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ছাতক থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সফিকুল ইসলাম খান আসামি গ্রেপ্তারের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, যৌথ বাহিনীর অভিযানে আব্দুল খালিকের বাড়ির সামনে থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় অস্ত্রগুলো উদ্ধার করা হয়েছে এবং এ বিষয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। তাকে একটি পুরোনো নাশকতা মামলার সন্দিগ্ধ আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে সহকারী পুলিশ সুপার (ছাতক সার্কেল) মো. আব্দুল কাদের সম্পূর্ণ দায় এড়িয়ে বলেন, এ ব্যাপারে আমি কিছু জানি না। বিস্তারিত তথ্যের জন্য ওসি ভালো বলতে পারবেন, যার ওপর তিনি নির্ভর করছেন। তবে, পরে তিনি বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখার আশ্বাস দেন।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।