
ছাতক প্রতিনিধিঃসুনামগঞ্জের ছাতকে বৃটেন প্রবাসীর জায়গা দখলে অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে একদল প্রভাবশালী চক্র। ওই চক্রটি প্রবাসীর জায়গায় নির্মানাধীন টিনসেডের ঘর ভেঙ্গে আর্থিক ক্ষতি সাধণ করে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেছে। দাবিকৃত চাঁদা না দিলে ওই প্রবাসীকে প্রাণে মারারও হুমকি দিয়েছে। প্রাণ নাশের হুমকি-ধামকি, ঘর ভাংচুর আর চাঁদাবাজির এমন অভিয়োগ এনে ছাতক থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন সাইফুর রহমান নামের ওই ভূক্তভোগি প্রবাসী।
তিনি ছাতক উপজেলার চরমহল্লা ইউনিয়নের মজুমদারীচর গ্রামের মছদ্দর আলীর ছেলে ও বর্তমানে খিদ্রাকাপন এলাকার বাসিন্দা।
জানা যায়, ছাতকের খিদ্রাকাপন মৌজার জেএল নং- ৩৩২, খতিয়ান নং-৬৯, নামজারী- ৩৫১, দাগ নং- ২৭১, ০২৯০ একর জায়গা রেজিঃ দলিল নং- ২২৭২/২১ ও খরিদা সূত্রে মালিক বৃটেন প্রবাসী সাইফুর রহমান। তিনি দীর্ঘদিন ধরে স্ব-পরিবারে বৃটেনে বসবাস করে আসছেন। গেল সোমবার ছাতক থানায় উপজেলার চরমহল্লা ইউনিয়নের মজুমদারীচর গ্রামের মৃত আবদুল গণির ছেলে আইয়ুব আলী, একই গ্রামের মছদ্দর আলীর স্ত্রী ফুলমতি বেগম, আছদ্দর আলীর ছেলে আজিজুল ইসলাম, মৃত আক্রম আলীর ছেলে জামাল উদ্দিনের নাম উল্লেখ করে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে ওই প্রবাসী। দায়েরকৃত অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, তার ক্রয়কৃত ভূমিতে একটি টিন সেডের ঘর তিনি নির্মাণ করেন। এতে প্রতিপক্ষের লোভী লোকজনরা ভূমি দখল করে নেওয়ার গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়ে প্রবাসীর লোকজনকে নানা ভাবে হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছিল। এক পর্যায়ে তারা ওই প্রবাসীর কাছে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় বৃটেন থাকাবস্থায় গেল ২০ নভেম্বর রাতে ওই প্রবাসীর টিন সেডের ঘর সম্পূর্ণভাবে ভেঙ্গে লাখ টাকারও বেশি ক্ষতি সাধন করে। এ ঘটনার গেল ২৩ নভেম্বর প্রবাসী সাইফুর রহমান দেশে এসে স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের কাছে বিচার প্রার্থী হলে আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে ওই চক্রটি। ভূক্তভোগি ওই প্রবাসী বলেন, সন্ত্রাসীদের দাবীকৃত টাকা না দিলে তারা তাকে হত্যা করবে বলে প্রকাশ্যে হুমকি দিচ্ছে। সন্ত্রাসীদের হুমকিতে তিনি ও তার সহযোগিরা জান-মালের চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছেন। এ ব্যাপারে তিনি প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করছেন। এদিকে প্রধান অভিযুক্ত আয়ুব আলী তার বিরুদ্ধে আনীত সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, বাবা-ছেলের বিরোধ আমি নিরসনের চেষ্টা করেছি।
অভিযোগ প্রাপ্তির কথা স্বীকার করে ছাতক থানার ওসি তদন্ত রঞ্জন কুমার ঘোষ বলেন, প্রবাসীর বিষয়টি তদন্তের জন্য একজন উপ-পরিদর্শককে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।