
কানাইঘাট উপজেলার বড়চতুল ইউনিয়নে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামি বাবুল আহমদ ও তার স্ত্রীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এ ঘটনায় নিহত হয়েছেন নুরুল ইসলাম ওরফে সানা (৫০)। যিনি বড়চতুল ইউনিয়নের রাঙ্গারাই গ্রামের বাসিন্দা এবং স্থানীয় চতুল বাজারে দিনমজুর হিসেবে কাজ করতেন।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) ভোররাতে জৈন্তাপুর উপজেলার হারাতৈল গ্রামের একটি বাড়ি থেকে আত্মগোপন অবস্থায় তাদের আটক করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কানাইঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল আউয়াল। তিনি জানান, ‘এ ঘটনায় অভিযান চালিয়ে বুধবার ভোররাতে প্রধান আসামি বাবুল আহমদ ও তার স্ত্রীকে গ্রেফতার করেছে। নিহতের মরদেহ বর্তমানে ওসমানী হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে এবং ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে পুলিশ জানিয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে নুরুল ইসলাম ও তার চাচাতো ভাই বাবুল আহমদের মধ্যে জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলছিল। মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৫টার দিকে নুরুল ইসলামের এক শিশুসন্তান বাবুলের জমিতে মলত্যাগ করলে তুচ্ছ এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে বাবুল আহমদ, তার ছেলে মুমিন আহমদসহ পরিবারের সদস্যরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে নুরুল ইসলামের বাড়িতে হামলা চালায়। এতে নুরুল ইসলাম, তার স্ত্রী রিনা বেগম এবং তাদের পাঁচ সন্তান গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক নুরুল ইসলামকে মৃত ঘোষণা করেন। আহতদের মধ্যে রিনা বেগমের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।