
রাইজিংসিলেট- আজ মহান বিজয় দিবস। বাঙালি জাতির ইতিহাসে এটি এক অবিস্মরণীয় ও গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়। ১৯৭১ সালের এই দিনে দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের পর স্বাধীনতা অর্জনের মাধ্যমে বিশ্ব মানচিত্রে বাংলাদেশ একটি সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। এই স্বাধীনতার পেছনে যেসব বীর মুক্তিযোদ্ধা জীবন উৎসর্গ করেছেন, তাঁদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাতে জাতীয় স্মৃতিসৌধে ভিড় করেছেন সর্বস্তরের মানুষ।
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) ভোর থেকেই দেশের নানা অঞ্চল থেকে আসা মানুষের ঢলে মুখর হয়ে ওঠে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধ এলাকা। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের প্রতিনিধি, মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁদের পরিবারের সদস্যরা ফুল, ব্যানার ও জাতীয় পতাকা হাতে স্মৃতিসৌধে উপস্থিত হন।
সরেজমিনে দেখা যায়, একের পর এক সংগঠন শহিদ বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী বীরদের প্রতি সম্মান জানাচ্ছেন। ফুলে ফুলে ভরে উঠেছে স্মৃতিসৌধের চারপাশ, আর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় নীরব হয়ে উঠেছে পরিবেশ।
স্মৃতিসৌধে আসা এক শিক্ষার্থী জানায়, তারা মুক্তিযুদ্ধ প্রত্যক্ষ করেনি, তবে পাঠ্যবই ও গল্পের মাধ্যমে ইতিহাস জেনেছে। পরিবারের সঙ্গে প্রথমবার জাতীয় স্মৃতিসৌধে এসে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে পেরে তারা গর্বিত।
আরিফুল ইসলাম নামে এক দর্শনার্থী বলেন, স্বাধীনতার জন্য যাঁরা জীবন দিয়েছেন, তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। তাই তিনি প্রতি বছরই বিজয় দিবসে স্মৃতিসৌধে আসেন।
একজন শিক্ষক সাইফুল ইসলাম বলেন, মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমেই আমরা স্বাধীন দেশ পেয়েছি। এই দিনটি আমাদের আত্মপরিচয়ের প্রতীক। জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের স্মরণ করতে জাতীয় স্মৃতিসৌধে এসে তিনি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।