ঢাকাবৃহস্পতিবার , ৬ মার্চ ২০২৫
  1. অর্থনীতি
  2. আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. আরো
  5. খেলার খবর
  6. গণমাধ্যম
  7. চাকরির খবর
  8. জাতীয়
  9. দেশের খবর
  10. ধর্ম পাতা
  11. পরিবেশ
  12. প্রবাস
  13. প্রেস বিজ্ঞপ্তি
  14. বিজ্ঞান প্রযুক্তি
  15. বিনোদন
আজকের সর্বশেষ সবখবর

জাফলংয়ে এ স্কে ভে টর মেশিন দিয়ে অবৈধ পাথর উত্তোলন হুমকির মূখে স্কুল সহ ফসলী জমি-ভিডিও সহ

rising sylhet
rising sylhet
মার্চ ৬, ২০২৫ ১০:০৬ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ads

সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলংয়ে বরল্লাঘাট পরিবেশ ও প্রতিবেশ সংকটাপন্ন(ইসিএ ভুক্ত মন্দিরের জুমপাড় এলাকায় ফসলী জমি পান সুপারীর বাগান,সনাতন ধর্মালম্বীদের বালিবাড়ী মন্দির ধ্বংশ করে ফেলুডার-এস্কেভেটর মেশিন দিয়ে অবৈধ ভাবে পাথর উত্তোলনের চলছে মহোৎসব। অবৈধ ভাবে পাথর উত্তোলন বন্দে স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেওয়া হচ্ছেনা কোন কার্যকারী পদক্ষেপ এমন অভিযোগ স্থানীয় এলাকাবাসীর। স্থানীয় এলাকার একাধিক লোকজন জানান,প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাঝে মধ্যে লোকা দেখানো অভিযান পরিচালনা করা,হয় ইসিএ ভুক্ত এলাকার বাইরে বালু শ্রমিকদের যারা হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রম করে বালতি দিয়ে ডুবিয়ে ১০/১৫ ফুট পানির নিচ থেকে সনাতন পদ্ধতিতে বালু উত্তোলন করে ৪/৫ শ টাকা রোজগার করে জীবিকা নির্বাহ করে তাদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে বালু নদীতে ফেলে দেয় নৌকা ভাঙ্গচুর করা হয়। অথচ যারা সরকারী নিষেধাঞ্জা অপেক্ষা করে ইসিএ ভুক্ত এলাকায় ফেলুডার-এস্কেভেটর মেশিন দিয়ে পরিবেশ ধ্বংশ কোটি কোটি টাকার পাথর লুট করছে তাদের বিরুদ্ধে কোন অভিযান নেই। অভিযান শুধু খেটে খাওয়া মানুষদের জন্য এমন আক্ষেপ হাজারও শ্রমিকের। তবে বিষয়টি সত্য নয় দাবি করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার রতন কুমার অধিকারী। তবে বালু-পাথর রক্ষায় এক রকম অসহায় প্রশাসনের সর্বচ্চ কর্তাব্যক্তিরা।

জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার দুজনে এক রকম অসহায়ত্ব প্রকাশই করে বললেন, লাগাতার অভিযান, ১২টি মামলা করেও জাফলংয়ের অবৈধ পাথর উত্তোলন বন্ধ করা যাচ্ছেনা। থানা পুলিশ গেলে কিছু সময় বন্ধ থাকে পাথর উত্তোলন, চলে আসলে আবার শুরু হয়।সরেজমিন দেখা গেছে. থানার পুলিশ, বিজিবি ও আনসার সদস্যদের সামনেই চলছে ধানব যন্ত্র দিয়ে জাফলং ধ্বংশের মহোৎসব। কয়েক হাজার নৌকা দিয়ে শ্রমিকরা তুলছেন বালু-পাথর।স্থানীয়রা জানান, গত ৫/৬ মাস থেকে পূর্ব জাফলং ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আমজাদ বক্সের প্রত্যক্ষ মদদে জাফলং ইউনিয়ন শ্রমিক লীগের সভাপতি, ট্রাক শ্রমিক নেতা, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় পৃথক তিনটি মামলার এজাহারভুক্ত আসামী সবেদ উরফে সমেদ নিজেই গড়ে তুলেছেন একটি লুটতোরাজ বাহিনী। এই বাহিনী বিএনপি নেতা আমজাদ বক্সের হয়ে সকাল থেকে ভোর পর্যন্ত জাফলং এলাকার প্রতিটি নৌকা, শ্যালো মেশিন, পাথর-বালু বাহি গাড়ি, কোয়ারীর গর্ত থেকে নির্দিষ্ট হারে চাঁদা উত্তোলন করে থাকেন।আর তার অনুসারীরা অভিযোগ করেন, আমজাদ বক্স নামে হলেও আসল কামে আছেন গোয়াইনঘাট উপজেলা যুবদল নেতা, জাহিদ খান, পূর্ব জাফলং ইউনিয়নের আব্দুস সাত্তার, ইউসুফ আহমেদ, নামধারী সাংবাদিক হুমায়ুন আহমদ সহ আরো কয়েকজন। তাদের রয়েছে পৃথক লাইন সিন্ডিকেট। এরা জাফলং এলাকায় যে সকল পাথরের গর্ত রয়েছে সেখান থেকে প্রতিদিন প্রতি গর্ত থেকে ১৫ হাজার টাকার করে চাঁদা কানেকশন করেন। যা জাফলং মন্দিরের জুম এলাকায় গেলেই চোখে পড়বে। তাদের দাবী তারা এই কোয়ারীগুলো ইউনিয়ন শ্রমিকলীগ সভাপতি সবেদ মিয়ার কাছ থেকে সাবলিজ নিয়ে। শেয়ারে তারা পাথর উত্তোলন করছেন সবেদের সাথে।নাম প্রকাশ না করে স্থানীয়রা জানান, সবেদ যে জমি গর্ত করে পাথর তুলছেন সে জমির প্রকৃত মালিক মৃত মন্তন মিয়ার উত্তরসুরীদের। মন্তন ও মঞ্জুর মিয়ার প্রচুর জমি রয়েছে জাফলং এলাকায়। কিন্তু মৃত মন্তনের পরিবারের সদস্যরা সামাজিক ও আর্থিক ভাবে দূর্বল হওয়ায় শ্রমিকলীগ সভাপতি সবেদ ও আমজাদ বক্সসহ তারা পুলিশী ভয় দেখিয়ে তাদের জমি জবর দখল করে পাথর উত্তোলন করছেন। জাফলং এলাকায় বিভিন্ন গ্রুপ হলেও দিন শেষে এখন ক্যাশিয়ার আমজাদ বক্স। তিনিই প্রশাসনের লাইন ম্যানেজ করেন। তার কথা মতোই চলতে হয় জাফলং এলাকায় দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের।

সম্প্রতি জাফলং জুমপার এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, মৃত মন্তনের জমির উপর প্রায় ৬ টি বিশাল পাথরের গর্ত থেকে মাটি কাটা হয়েছে, দিনে চলছে লেবার দিয়ে পাথর উত্তোলন আর রাতে চালানো হচ্ছে এক্সেভেটার, ফেলুডার।স্থানীয়রা আরো জানান, উক্ত জমির প্রকৃত মালিক মৃত মন্তন মিয়া কিন্তু সিলেট নগরীর বাসিন্ধা রায়নগর এলাকার বাসিন্ধা দেলোয়ার উরফে সোনা দেলোয়ার একটি জাল দলিল সৃজন করে নিজেকে ঐ জমির মালিক দাবী করেন। এ নিয়ে তার সাথে মৃত মন্তনের মিয়ার উত্তরসুরীদের একাধিক মামলা আদালতে চলমান রয়েছে।সর্বশেষ নিজের জমি রক্ষায় বাধ্য হয়ে ভুমির মালিক মন্তন মিয়ার ছেলে মতিউর রহমান মুহিব সিলেট সহকারি জজ আদালত গোয়াইনঘাট এ সম্প্রতি একটি মামলায় অবৈধ পাথর উত্তোলন বন্ধের জন্য আদালতের মাধ্যমে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করলে আদালত বিষয়টি আমলে নিয়ে গত ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ ইং জুমপার ২৬৩ নং দাগের ভুমির উপর সব রকম স্থিতি অবস্থা (ইনজেন্সন) জারি করে ব্যবস্থা নিতে গোয়াইনঘাট থানা পুলিশকে নির্দেশ দেন। কিন্তু আদালতের আদেশের পর আমজাদ বক্সের পক্ষ মদদে জাফলং ইউনিয়ন শ্রমিকলীগ সভাপতি সবেদ রাতের আধারে এক্সেভেটার ফেলুডার লাগিয়ে প্রায় প্রায় ১০ কোটি টাকার পাথর লুট করে নিয়ে গেছেন এ কয়েক দিনে।

ইতিমধ্যে তিনি থানার ওসি, জেলা প্রশাসক, সিলেট পুলিশ সুপারকে বিষয়টি অবহিত করেছেন। তারা তাকে সহযোগীতার আশ্বাস দিলেও শ্রমিকলীগ সভাপতি সবেদ প্রশাসনের কোন নির্দেশই আমলেই নিচ্ছেনা। সাধারণ মানুষের প্রশ্ন জাফলং ধ্বংশের নায়ক সাবেক এমপি ইমরান আহমদের সাবেক লাইনম্যান চক্রের সদস্য সবেদ ছাত্র-জনতার তিনটি মামলার এজাহার ভ‚ক্ত আসামী হওয়ার পর তাকে পুলিশ গ্রেফতার করছেনা। বরং জাফলং খাবলে খাওয়ার সুযোগ দিচ্ছে কিসের বিনিময়ে। ইতিপুর্বে জাফলংয়ে পাথর লুটপাটের মামলায় সিলেট জেলা বিএনপি পদস্থগিত নেতা রফিকুল ইসলাম শাহপরান ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান বহিস্কৃত বিএনপি নেতা শাহ আলম স্বপনের দলীয় পদ স্থগিত করেন। তারা দুজন এখন কোয়ারী ছেড়ে দলীয় পদ ফিরে পেতে জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।কিন্তু এখন জাফলং লুটপাটকারী শ্রমিকলীগ সভাপতি সবেদ ও স্থানীয় বিএনপি নেতাদের কি কারণে শেল্টার দিয়ে যাচ্ছেন জেলার নেতৃবৃন্দ এমন প্রশ্ন সাধারণ মানুষের। কাদের ছত্রছায়ায় থেকে শ্রমিকলীগ সভাপতি সবেদ জাফলং কোয়ারী খাবলে খাচ্ছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, গত ৫ মাসে জাফলং কোয়ারি থেকে অন্তত ৫০০ কোটি টাকার বালু ও পাথর লুট করা হয়েছে। সারাদেশে ছাত্র-জনতার মামলায় আওয়ামী লীগ নেতারা কারাগারে কিংবা পালিয়ে বেড়ালে প্রকাশ্যে জাফলংয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে বিএনপির সাবেক সাংসদ দিলদার হোসেন সেলিমের নির্বাচনী স্টেজ ভাংচুরে মামলার এজাহার ভুক্ত আসামী কুখ্যাত চাঁদাবাজ ট্রাক শ্রমিক নেতা ও শ্রমিক লীগের সভাপতি সবেদ মিয়া।

উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানিয়েছে, গত পাঁচ মাসে সেখানে ১৫-১৬টি অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। সর্বশেষ গত শনিবার পরপর দুটি অভিযান চালানো হয়। পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, জাফলং জিরো পয়েন্ট থেকে সরকার পতনের পর ১২০ কোটি টাকার পাথর লুটের ঘটনার মামলাটির চার্জসিট প্রক্রিয়াধিন। কিন্তু কিছুতেই যেনো থামানো যাচ্ছেনা জাফলং কোয়ারী লুটপাট।আমজাদ বক্স ও ইউনিয়ন শ্রমিকলীগ সভাপতি সবেদ এই দুটির বাহিনীর সদস্যরা আধিপত্ব্য বিস্তার করতে এলাকায় প্রায়ই প্রকাশ্যে অস্ত্রের মহড়া দেয়। ফলে ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না। সবেদ এক সময় শাহপরানের মদদে চললেও এখন সে আমজাদ বক্সের ডান হাত হিসাবে পরিচিত।

গোয়াইনঘাট থানার ওসি সরকার তোফায়েল আহমদ জানান, অবৈধ পাথর উত্তোলন বন্ধে পুলিশি অভিযান চলছে। তিনি ছুটিতে ছিলেন তাই আদালতের আদেশটি বাস্তবায়ন করতে দেরি হয়েছে। তবে তিনি স্থানীয় পুলিশের বিট অফিসারকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালতের আদেশটি বাস্তবায়নের জন্য। এবিষয়ে জানতে রফিকুল ইসলাম শাহপরান,আমজাদ বক্স ও আব্দুল সাত্তার,জাহিদ খান’র মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে প্রতিবেদককে জানায়,পুলিশ লাইনের নামে চাদা আদায় ও জুমপাড় এলাকায় পাথর লুট পাটে তার জড়িত নয়,তাদের নাম ব্যাবহার করে যারা চাদাবাজি সহ অপকর্ম করছে তাদেরকে আইনের আওতায় আনার দাবি করেন তারা। তবে জুমপাড় এলাকায় আমজাদ বক্সের ২ টি পাথরের গর্ত রয়েছে বলে শিকার করেন।

সিলেটের জেলা প্রশাসক শের মোহাম্মদ মাহবুব মুরাদ বলেন, গত ৫ আগস্টের পর প্রকৃতি-কন্যা জাফলংয়ের পাথর কোয়ারীতে ব্যাপক লুটপাট হয়েছে বিষয়টি তিনি শুনেছেন। পাথর লুটপাটে জড়িতদের বিরুদ্ধে স্ব-স্ব থানায় মামলা হয়েছে। দ্রুত তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) সিলেট বিভাগীয় সমন্বয়ক শাহ সাহেদা বলেন, পাথর ও বালু খেকোরা প্রকাশ্যে আদালত ও সরকারকে অমান্য করছে।

সিলেটের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান বলেন, উপজেলা বা জেলা প্রশাসনের টাস্কফোর্স ও মোবাইল কোর্টের অভিযানে থানা-পুলিশ সহায়তা করে। খবর পেলে পুলিশও অভিযান চালায়।

বিজিবি সিলেট সদর দপ্তরের সেক্টর কমান্ডার কর্নেল সাইফুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, সীমান্তের ১৫০ গজের ভেতর থেকে বালু-পাথর তুললে আমরা বাধা দিই। এর বাইরে অবৈধ ভাবে কেউ কাজ করলে সেটা উপজেলা প্রশাসন দেখবে।

 

ভিডিও লিংক —- জাফলংয়ে এস্কেভেটর মেশিন দিয়ে অবৈধ পাথর উত্তোলন হুমকির মূখে স্কুল সহ ফসলী জমি,,

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।