চায়ের দোকান খোলায় গেজেটভুক্ত জুলাইযোদ্ধাকে মারধর করেন এসআই জসিম,অভিযোগ করেন ইসলাম উদ্দিন ।
জুলাই আন্দোলনের সময় আহত হন ইসলাম উদ্দিন। বর্তমানে তিনি সিএনজি চালাতে না পেরে জীবিকা নির্বাহের জন্য একটি ছোট চায়ের দোকান চালান।
প্রতিদিনের মতো সিলেটের লামাবাজার এলাকায় ফজরের নামাজের পর চায়ের দোকান খোলার জন্য বের হোন তিনি ।
দোকান খুলার পর বেপরোয়া এসআই জসিম এসে বলেন, এতো সকালে দোকান খোলা কেন” জানতে চেয়ে তাকে মারধর শুরু করেন। জোর করে ভ্যানে তুলতে গেলে আহত ব্যক্তি জানান, “আমি একজন গেজেটভুক্ত জুলাইযোদ্ধা।
ইসলাম আরও বলেন, আন্দোলনে আহত হওয়ার পর দীর্ঘসময় বসে থাকতে পারি না, তাই এই দোকান দিয়েছি।
এরপরই সুর পাল্টিয়ে বিগত সরকারের দালাল এসআই জসিম জবাবে বলেন, “তুই যোদ্ধা! তোরা তো পুলিশ মারছিস, ফাঁড়ি জ্বালাইছিস”—এই বলেই কিল, ঘুষি, থাপ্পড় মারতে মারতে গাড়িতে তোলার চেষ্টা করেন।
কারণে একজন গেজেটভুক্ত জুলাইযোদ্ধাকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে লামাবাজার পুলিশ ফাঁড়ির বেপরোয়া এসআই ডেবিল জসিমের বিরুদ্ধে।
রিস্থিতি বেগতিক দেখে সঙ্গে থাকা এক কনস্টেবলের হস্তক্ষেপে এসআই জসিম ও অন্যান্য পুলিশ সদস্য তাকে রাস্তায় ফেলে রেখে চলে যান।
ইসলাম উদ্দিন বর্তমানে আহত অবস্থায় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
এব্যপারে বেপরোয়া এসআই জসিমের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেস্টা করলে তাহার মোবাইল নম্বর বন্ধ থাকাশ বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন,সিলেট জেলা কমিটি এবং জুলাই যোদ্ধাদের সহযোদ্ধারা। অনতিবিলম্ব এসআই জসিম ও কনস্টেবলকে গ্রেফতার করে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।