ঢাকাবৃহস্পতিবার , ৩১ জুলাই ২০২৫
  1. অর্থনীতি
  2. আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. আরো
  5. খেলার খবর
  6. গণমাধ্যম
  7. চাকরির খবর
  8. জাতীয়
  9. দেশের খবর
  10. ধর্ম পাতা
  11. পরিবেশ
  12. প্রবাস
  13. প্রেস বিজ্ঞপ্তি
  14. বিজ্ঞান প্রযুক্তি
  15. বিনোদন
আজকের সর্বশেষ সবখবর

টিকটকে মাত্র চার মাসের প্রেম,চীনের নাগরিক বাংলাদেশে অত:পর

rising sylhet
rising sylhet
জুলাই ৩১, ২০২৫ ১০:২৭ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ads

টিকটকে মাত্র চার মাসের প্রেম,চীনের নাগরিক বাংলাদেশে অত:পর ।

প্রেমের টানে চীনের নাগরিক শি তিয়ান জিং নামের এক যুবক বাংলাদেশে এসেছেন। বিয়ে করে বর্তমানে তিনি মাদারীপুর শ্বশুরবাড়িতে আছেন।

এদিকে, ভিনদেশি নাগরিককে একনজর দেখার জন্য ওই বাড়িতে ভিড় করছেন লোকজন।

সুমাইয়া আক্তার বলেন, টিকটক দেখে আমি ওর ভক্ত হই। এরপর ইউচ্যাটের মাধ্যমে কথা হয়। পরে দু’জনেই প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ি। কিন্তু মাত্র চার মাসের প্রেমের সূত্র ধরে চীন থেকে বাংলাদেশ আমার কাছে চলে আসবে, তা কখনো ভাবিনি। ও প্লেনে ওঠার সময় বলেছে আমি বাংলাদেশে আসতেছি। কিন্তু আমি বিশ্বাস করিনি। যখন ইন্ডিয়া এসে আমাকে জানায়, তখন বিশ্বাস করেছি। তার মা-বাবাকে আমার কথা বলেছে। ওরাও মুসলিম। ওর মা বলেছেন আমাকে বিয়ে করে চীনে নিয়ে যেতে। তাই শি তিয়ান জিং বাংলাদেশে এসে আমাকে বিয়ে করেছেন। এরইমধ্যে পাসপোর্ট করতে দিয়েছি। ও এক মাস বাংলাদেশে থাকবে। এরই মধ্যে আমার সকল কাগজপত্র রেডি করা হবে। তারপর ও আমাকে চীনে নিয়ে যাবে। আমিও চীনে যাবার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি।

শি তিয়ান জিং বলেন, বাংলাদেশ আমার ভালো লেগেছে। তবে অনেক গরম। আর অনেক মানুষ আমাকে দেখতে আসে, তাই আমার ভয় লাগে। আমি ভালোবেসে চীন থেকে এখানে এসেছি। সুমাইয়াকে বিয়ে করেছি। এখন ওর কাগজপত্র রেডি করে চীনে নিয়ে যাবো। সুমাইয়ার বাবা সাইদুল ইসলাম বলেন, আমার মেয়ের সঙ্গে চীনের নাগরিক সিতিয়ান জিংয়ের মোবাইলে প্রেম হয়। এরপর সে বাংলাদেশে এসে আমার মেয়েকে বিয়ে করে। এখন সে আমাদের এখানেই আছে। ও খুব ভালো। খুবই অমায়িক। কোনো অহংকার নেই। এক মাস থাকবে এবং আমার মেয়েকে নিয়ে যাবে। এতে করে আমরা খুব খুশি। পাঁচখোলা ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের সদস্য (মেম্বর) মো. রুবেল হাওলাদার বলেন, সামাজিকভাবে গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে বিয়ে হয়। শুনেছি চীনের ওই ছেলের ব্যবসা আছে। কিছুদিনের মধ্যে সুমাইয়াকেও চীনে নিয়ে যাবে।

জানা যায়, মাদারীপুর সদর উপজেলার পাঁচখোলা ইউনিয়নের উত্তর মহিষের চর এলাকার বাসিন্দা সাইদুল হোসেন ও ইয়াসমিন বেগমের মেয়ে সুমাইয়া আক্তার (১৯)। সুমাইয়া মাদারীপুর শহরের সরকারি সুফিয়া মহিলা কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী। তারা তিন বোন। সুমাইয়া বড়, মেজো সাদিয়া আক্তার (১২) মাদ্রাসায় পড়েন, ছোট বোন আরিফা (৬)।

এদিকে, চীনের সাংহাই শহরের বাবা সি জিং নিং ও মা ওয়াং ইংয়ের ছেলে শি তিয়ান জিং (২৬)। তারা দুই ভাই। বড় শি তিয়ান জিং, তার চীনের সাংহাই শহরে রেস্টুরেন্টের ব্যবসা আছে।

প্রথমে সুমাইয়া এই শি তিয়ান জিং এর টিকটক দেখেন। এরপর ইউচ্যাটের মাধ্যমে কথা আদান প্রদান হয়। উভয়েই গুগলের মাধ্যমে লেখা অনুবাদ করে মনের ভাব আদান-প্রদান করেন। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক হয়।

মাত্র চার মাসের প্রেমের সম্পর্কের সূত্র ধরে গত ২৪শে জুলাই চীন থেকে বাংলাদেশ আসেন শি তিয়ান জিং। এরপর একদিন ঢাকার একটি হোটেলে থাকেন। ২৬শে জুলাই মাদারীপুর সদর উপজেলার মহিষের চর সুমাইয়ার বাড়িতে আসেন। সুমাইয়া, সুমাইয়ার বাবা সাইদুল ইসলাম ও তার দুইজন আত্মীয় মিলে ঢাকা থেকে শি তিয়ান জিংকে মাদারীপুরে নিয়ে আসেন। বাংলা ভাষায় কথা বলতে না পারায় মোবাইলে অনুবাদ করে কথা আদানপ্রদান করেন শি তিয়ান জিং। এরপর ২৭শে জুলাই তারা বিয়ে করেন। এই খবর ছড়িয়ে পড়লে সুমাইয়ার বাড়িতে আশপাশের মানুষসহ দূর-দূরান্ত থেকে ভিড় করতে থাকেন।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।