
ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালকে দালালমুক্ত করতে ইতোমধ্যে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে বলেন,জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার আলম । খুব শীঘ্রই আমরা ওসমানী হাসপাতালকে দালালমুক্ত করবো। এই হাসপাতালের চিকিৎসক ও নার্সরা অত্যন্ত আন্তরিকভাবে কাজ করছেন, কিন্তু অতিরিক্ত রোগীর চাপে সেবা ব্যাহত হচ্ছে। ৫০০ শয্যার জনবল থাকলেও রোগী সংখ্যা প্রায় ৩ হাজার। তার সঙ্গে রোগীর স্বজনদের অতিরিক্ত ভিড় ব্যবস্থাপনা আরও জটিল করে তোলে। আমরা এই পরিস্থিতি পরিবর্তনের জন্য নিরলসভাবে কাজ করছি।’
জেলা প্রশাসক সারওয়ার আলম বলেন, গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের একটি প্রতিনিধি দল হাসপাতাল পরিদর্শনে এসেছেন। তাদের মূল লক্ষ্য ছিল দুটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় পরিদর্শন করা। ক্যান্সার হাসপাতালের নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। তারা দেখতে এসেছেন কাজ কতদূর অগ্রসর হয়েছে এবং সম্পূর্ণ হতে আর কত সময় লাগবে। আমরা আশা করছি আগামী ৩ মাসের মধ্যেই ক্যান্সার হাসপাতালের কার্যক্রম শুরু করা সম্ভব হবে। এই হাসপাতাল চালু হলে সিলেটসহ পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীদের আর ঢাকায় বা দেশের বাইরে যেতে হবে না।
বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজে নির্মিতব্য ক্যান্সার ইউনিটের কাঠামোগত উন্নয়ন পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এই কথাগুলো বলেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন- আসেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব নজরুল ইসলাম।
তিনি আরও বলেন, ‘ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের গঠনমূলক ও কাঠামোগত বিভিন্ন সমস্যা রয়েছে। এই সমস্যাগুলো সমাধানের জন্য দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে। চিকিৎসকদের বসার মতো উপযুক্ত জায়গাও নেই, যা খুবই দুঃখজনক। আমরা এই সমস্যাগুলোর সমাধানে কাজ করছি।