
এনসিপির সম্ভাব্য প্রার্থী, শিক্ষানুরাগী, তথ্য ও প্রযুক্তিবিদ প্রকৌশলী রাশেল উল আলম দেশে ফিরেছেন।
রবিবার (২৩ নভেম্বর) দুপুর পৌণে ১টায় তিনি সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করলে তাকে স্বাগত জানান জাতীয় নাগরিক পার্টি- এনসিপির নেতৃবৃন্দ ও সিলেট-৪ আসনের সর্বস্থরের জনসাধারণ।
এসময় এনসিপির সম্ভাব্য প্রার্থী প্রকৌশলী রাশেল উল আলম গণমাধ্যমের সাথে কথা বলেন। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আরিফুল হক চৌধুরী একজন বিজ্ঞ মানুষ, আমাদের অভিভাবক। তবে তিনি সিলেট-১ এর জন্য পারফেক্ট, সিলেট-৪ এর জন্য নয়। কারণ, স্থানীয় জনগন নিজেদের প্রার্থী চান। আমার বাড়ী গোয়াইনঘাট- এই আসনেরই মানুষ।
তিনি জামায়াতের উদ্দেশ্যে বলেন, জয়নাল আবেদীন ভাই উপজেলা চেয়ারম্যান ছিলেন, ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন। কিন্তু একজন এমপি হিসাবে তাকে আমরা দেখি নাই। এমপি হিসাবে তার দক্ষতা নিয়ে আমরা সন্দিহান। সেক্ষেত্রে জামায়াতের প্রতি আমার আহ্বান, তারা তাদের প্রার্থী নির্বাচনের বিষয়টি পূণঃবিবেচনা করবে।
তিনি বলেন, চলতি মাসের মধ্যেই সিলেটের ৬টি আসনে এনসিপির মনোনয়ন কারা পাবেন- তা পরিস্কার হয়ে যাবে। এখন মনোনয়ন যারা চেয়েছেন তাদের আবেদন যাচাই বাছাই চলছে। এনসিপি এমন একটা দল এখানে টাকা দিয়ে সবকিছু হয়না। যোগ্যতা বিচার করে প্রার্থী দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, পাথর উত্তোলন করা হবে বললেই হবেনা। এটা বন্ধ করা হয়েছে পর্যটন শিল্পের উন্নয়নের জন্য। তবে বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা উচিৎ ছিল। কিন্তু সেটা এখনো হয়নি। একটি ফ্রেম ওয়ার্কের মধ্যে সবকিছু নিয়ে এসে পাথর উত্তোলনের বিষয়টি বিবেচনা করা যেতে পারে।
তিনি সিলেট-৪ আসনের উন্নয়নকে তথ্যপ্রযুক্তি, শিক্ষা ও সুশাসনের ভিত্তিতে নতুনভাবে গড়ে তোলার প্রত্যাশা ব্যাক্ত করেন। এজন্য জনগণের সমর্থন, মতামত ও সক্রিয় অংশগ্রহণের উপর গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি সিলেট-৪ আসনের জনগনের জন্য প্রচুর বিকল্প কর্মসংস্থানের উপর জোর দেন। তিনি জানান, হাইটেক পার্ক এ ইলেক্ট্রিক্যাল পার্ক করতে, আরও বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। তাহলে এর আয়তন যেমন আরও বড় হবে তেমনি প্রচুর কর্মসংস্থান হবে।
পরে তিনি দুপুর ২টার দিকে নেতাকর্মীদের নিয়ে হযরত শাহজালাল (র.) এর মাজার জিয়ারত করেন।