
রাইজিংসিলেট- অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের জন্য দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্বাচন তফসিল ঘোষণার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)-এর সাবেক সভাপতি ও বর্তমান সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম।
শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সিপিবির জাতীয় সমাবেশে তিনি বলেন, জনগণ দীর্ঘ লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে স্বৈরাচারকে পরাস্ত করেছে; তাই তারা নতুন কোনো কর্তৃত্ববাদী বা ফ্যাসিবাদী শাসন মেনে নেবে না। নির্বাচন নিয়ে সরকারের আচরণ জনগণের মনে সন্দেহ তৈরি করছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
তার দাবি—অবিলম্বে তফসিল দিয়ে নির্বাচনের অনুকূল পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।
দেশের সার্বিক সংকট তুলে ধরে সেলিম বলেন, মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে দেশকে পাকিস্তানের শৃঙ্খল থেকে মুক্ত করা হয়েছিল, বিদেশি প্রভাবের কাছে সমর্পণ করার জন্য নয়। সরকারের নীতিনির্ধারণে মার্কিন ভূরাজনৈতিক স্বার্থের প্রভাব বেড়ে যাওয়ায় তিনি দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের ওপর দীর্ঘমেয়াদি হুমকির আশঙ্কা প্রকাশ করেন।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস ঘোষিত গণভোট প্রস্তাবকে তিনি “অগ্রহণযোগ্য” আখ্যায় দিয়ে বলেন, এটি একটি ভুয়া ঐকমত্য তৈরির চেষ্টা মাত্র। সাংবিধানিক আদেশ জারি করে গণভোটের বৈধতা প্রতিষ্ঠা করা যাবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
সিপিবির নতুন কর্মসূচি ঘোষণা
সভায় সিপিবি সভাপতি কাজী সাজ্জাদ জহির চন্দন কয়েকটি কর্মসূচি ঘোষণা করেন। এর মধ্যে রয়েছে—
১৬ নভেম্বর: লালদিয়া টার্মিনাল বিদেশি প্রতিষ্ঠানের কাছে হস্তান্তরের প্রতিবাদে দেশব্যাপী বিক্ষোভ ও মিছিল
২৪ নভেম্বর: নির্বাচন কার্যালয় ঘেরাও করে জামানত কমানো ও প্রার্থীদের সমান সুযোগ নিশ্চিত করার দাবিতে বিক্ষোভ
২৮ নভেম্বর: ঢাকায় নারীদের রাজনৈতিক কনভেনশন
২৯ নভেম্বর: বাম-গণতান্ত্রিক-প্রগতিশীল দলগুলোর উদ্যোগে বিকল্প রাজনৈতিক শক্তির জাতীয় কনভেনশন
সমাবেশ শেষে শাহবাগ, বাটা সিগন্যাল, সায়েন্সল্যাব, ঢাকা কলেজ ও গাউছিয়া প্রদক্ষিণ করে মিছিলটি উদ্যানে এসে শেষ হয়। বক্তৃতা দেন বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল–বাসদ, জাসদ এবং সিপিবির শীর্ষ নেতারাও।