
কোর্ট প্রাঙ্গণে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দের স্লোগানকে কেন্দ্র করে সিলেটের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। ওই ঘটনার পর থেকে সিলেটে পুলিশ বেশ তৎপর রয়েছে। নগরীর বিভিন্ন এলাকায় ধর-পাকড় অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। এরই ধারাবাহিকতায় প্রয়াত মেয়র বদর উদ্দিন আহমেদ কামরানের পরিবারের বাসভবনে গভীর রাতে অভিযান চালিয়ে নবম শ্রেণির ছাত্র আকরাম আহমদকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃত আকরাম আহমদ সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা এনাম আহমদের ছেলে এবং খাজাঞ্জিবাড়ি ইন্টারন্যাশনাল বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী। পুলিশ বলছে, নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের মিছিলে অংশ নেওয়ার অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
সোমবার (১০ নভেম্বর) মধ্যরাতে নগরীর ছড়ারপাড় এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (গণমাধ্যম) সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আকরাম আহমদ নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের মিছিলে অংশ নিয়েছিলেন। ওই অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’
তবে পরিবার বলছে, পুলিশ তাদের বাড়িতে এসেছিল আকরামের চাচা, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. আরমান আহমেদ শিপলুকে খুঁজতে। তাঁকে না পেয়ে আকরামকে ধরে নিয়ে যায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
আকরামের বাবা এনাম আহমদ জানান, ‘পুলিশ আমার ভাতিজা ডা. আরমান আহমদ শিপলু ও আমাকে খুঁজতে থাকে। পরে তারা ভাতিজাকে না পেয়ে আমার ঘরে ডাকাডাকি করে। একপর্যায়ে আমার নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া ছেলে আকরাম দরজা খুলে দিলে কোনো কারণ ছাড়াই পুলিশ তাকে ধরে নিয়ে যায়।’
অন্যদিকে আকরামের বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ মজিবুর রহমান জানান, ‘আকরাম আমাদের বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী। তবে তার গ্রেফতারের বিষয়ে আমি কিছু জানি না।’
এদিকে যুক্তরাজ্য থেকে ডা. আরমান আহমেদ শিপলু এক ভিডিও বার্তায় অভিযোগ করেছেন, ‘দেশে এখন আর আইনের শাসন নেই। আমার পরিবারের সদস্যদের প্রাণনাশের উদ্দেশ্যে বারবার বাড়িতে হামলা চালানো হচ্ছে। আমার ১৬ বছরের চাচাত ভাইকে বিনা অপরাধে পুলিশ ধরে নিয়ে গেছে।’
সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি বদরউদ্দিন আহমদ কামরান ২০২০ সালে প্রয়াত হন। তার ছেলে শিপলু মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছেন। গত বছরের ৫ আগস্টের পর থেকে তিনি দেশের বাইরে অবস্থান করছেন।