
নগরীর যানবাহন চলাচল ও পার্কিং ব্যবস্থা নিয়ে নতুন নির্দেশনা দিয়েছে মহানগর পুলিশ (এসএমপি)। পরিবহন ব্যবস্থায় শৃঙ্খলা ও নাগরিক জীবনে স্বস্তি ফেরাতে এই নির্দেশনা।
সিলেট নগরবাসীর জীবনে এক অভিশাপের নাম যানজট। হকারদের দখল থেকে ফুপপাত ও রাজপথ মুক্ত করা হয়েছে। তবে অতীতে দেখা গেছে, মুক্ত ফুটপাত ও রাজপথ আবারও দখল করে নেন সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালক, মোটরসাইকেল ভ্যান ও লেগুনা চালকরা। এতে অবস্থা হয় আরও ভয়াবহ। আর যত্রতত্র পার্কিং সমস্যাতো আছেই।
সোমবার (২০ অক্টোবর) বিকেল ৩টায় এসএমপি কমিশনার আব্দুল কুদ্দুস চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।
এ সমস্যা থেকে উত্তোরনের জন্য এবার কঠোর ব্যবস্থার কথা ঘোষণা করেছে মহানগর পুলিশ। তারা তিনটি গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা জারি করেছে।
প্রথম নির্দেশনাটি হচ্ছে রাস্তার সংযোগস্থলের কেন্দ্রবিন্দু থেকে অন্তত ২৫ গজ পর্যন্ত যানবাহন পার্কিং করা যাবেন। এর ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, নগরীর যেকোনো মোড় বা ক্রসিংয়ের নিকটবর্তী স্থানে যানবাহন থামানো বা পার্কিং কঠোরভাবে নিষিদ্ধ।
পরের নির্দেশনাটি হচ্ছে, দুই লেনের সড়কে পার্কিং করা যাবেনা। মানে সরু সড়কের মধ্যপথে কোথাও গাড়ি দাঁড় করিয়ে রাখা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
আর সর্বশেষ নির্দেশনা হচ্ছে, নির্ধারিত পার্কিংয়ে মাত্র একটি লাইনে অনুমোদিতসংখ্যক যানবাহন রাখতে হবে। একাধিক সারিতে অনুমোদিতসংখ্যক গাড়ির অতিরিক্ত পার্কিং করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণাও এসেছে।
পার্কিংয়ে বিশৃঙ্খলার কারণে জনজীবনে মারাত্মক দুর্ভোগ নেমে আসে। সিলেট নগরবাসীকে আর যাতে সেরকম কোনো দুর্ভোগ পোহাতে না হয় সেজন্য এসব নির্দেশনা বাস্তবায়নে সবার সহযোগীতাও চেয়েছে পুলিশ প্রশাসন।
নগরবাসীর অনেকে মনে করছেন, সিদ্ধান্ত কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন হলে সিলেটের সড়ক ব্যবস্থায় দীর্ঘদিনের বিশৃঙ্খলার অবসান ঘটবে। তবে, তারা চান শুধু ঘোষণা নয়, নিয়ম লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হোক।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ আইনের ২৭(১) ধারা অনুযায়ী ফুটপাত বা সড়কে যানবাহন রেখে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা দন্ডনীয় অপরাধ। এই আইন ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।