ঢাকারবিবার , ১৯ অক্টোবর ২০২৫
  1. অর্থনীতি
  2. আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. আরো
  5. খেলার খবর
  6. গণমাধ্যম
  7. চাকরির খবর
  8. জাতীয়
  9. দেশের খবর
  10. ধর্ম পাতা
  11. পরিবেশ
  12. প্রবাস
  13. প্রেস বিজ্ঞপ্তি
  14. বিজ্ঞান প্রযুক্তি
  15. বিনোদন
আজকের সর্বশেষ সবখবর

নাগরিক জীবনে স্বাচ্ছন্দ ফিরিয়ে আনতে এ অ ভি যা ন-৭টি পয়েন্টে ৭ জন ম্যাজিস্ট্রেট

rising sylhet
rising sylhet
অক্টোবর ১৯, ২০২৫ ৭:২৭ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ads

নাগরিক জীবনে স্বাচ্ছন্দ ফিরিয়ে আনতে এ অভিযানের ব্যাপারে গত প্রায় একমাস থেকে সতর্ক করা হচ্ছিল। মহানগরীর ৭টি পয়েন্টে ৭ জন ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে চলছে কঠোর অভিযান। রাজপথ ও ফুটপাত দখল মুক্ত করতে সক্রিয় তারা।

অবশেষে তা শুরু হওয়ায় একপক্ষে স্বস্তি এবং অপর পক্ষে রীতিমতো আতঙ্ক শুরু হয়েছে।

রবিবার (১৯ অক্টোবর) সারাদিন নগরীর ৭টি পয়েন্টে ৭ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে চলে অভিযান। পয়েন্টগুলো হচ্ছে, বন্দরবাজার, চৌহাট্টা, আম্বরখানা, শেখঘাট, রিকাবীবাজার, তালতলা, জিন্দাবাজার। অভিযানে হকারদের উচ্ছেদের পাশাপাশি স্থায়ী ব্যবসায়ীদের দখল থেকে ফুটপাতও মুক্ত করা হচ্ছে।

সিলেট নগরবাসীর জীবন অতিষ্ঠ করে তুলেছিল যানজট। এজন্য প্রধানত দায়ী ভাসমান ব্যবসায়ী এবং হকাররা। পাশাপাশি বিভিন্ন মার্কেটের সামনের ফুটপাত এবং রাস্তাও অবৈধভাবে দখল করে রাখছিলেন স্থায়ী ব্যবসায়ীরা।

তাদের কারণে ফুটপাতে পা ফেলারও জায়গা পাননা পথচারীরা। হাঁটতে হয় রাজপথ দিয়ে। এতে প্রায়ই নানা দুর্ঘটনা ঘটে।

সম্প্রতি সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. সারোয়ার আলম ও পুলিশ কমিশনার মো. আব্দুল কুদ্দুছ চৌধুরী সিলেটের সুধি সমাজের সাথে মতবিনিময় করেন।

নানা আলাপ আলোচনা বিশ্লেষন শেষে সিলেটের জনজীবনে স্বস্তি ফিরিয়ে আনতে অবৈধ যানবহাহন ও হকারদের উচ্ছেদের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

সে অনুযায়ী প্রায় একমাস ধরে নগরীতে চলছে অবৈধ যানবাহনের বিরুদ্ধে অভিযান। অভিযানে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রহীন যানবাহন ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা আটক করা হয়েছে প্রচুর। বর্তমানে নগরীতে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা আগের চেয়ে অনেকটাই হ্রাস পেয়েছে।

আর হকারদের ব্যাপারে মানবিক বিবেচনায় তাদের পূণর্বাসনের জন্য লালদিঘীরপার হকার্স মার্কেট প্রস্তুত করতে কিছুটা সময় নেওয়া হয়। প্রায় একমাস চেষ্টার পর ওই অস্থায়ী হাকার্স মার্কেটের প্রস্তুতি সম্পন্ন অতিসম্প্রতি। গত ১৬ অক্টোবর বৃহস্পতিবার সিলেট মহানগর পুলিশ ও সিলেটের জেলা প্রশাসক পরিস্কার ঘোষণা দেন, রবিবার থেকে সিলেটের রাজপথ বা ফুটপাতে আর কোনো হকার বসতে পারবেনা।

ব্যাপক প্রচারণার ফলাফলও হয়েছে অনেকটা ইতিবাচক। সিলেটের যেসব এলাকার রাজপথ-ফুটপাতে হকারদের মেলা বসে, রবিবার সকাল থেকে তাদের আর ওসব স্থানে দেখা যায়নি। দু’একজন বসার চেষ্টা করলেও পুলিশ দেখলেই দৌড়ে পালিয়েছেন তারা।

এদিক বন্দরবাজার, জিন্দাবাজার, চৌহাট্টা, আম্বরখানা, তালতলা, লামাবাজার, রিকাবিবাজার এলাকার গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন সড়কের পাশের মার্কেটের দোকানদাররা তাদের পণ্যের পশরা একেবারে ফুটপাত ছাড়িয়ে অনেক সময় রাজপথেও নিয়ে আসেন। এই ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধেও চলছে কঠোর অভিযান। তাদের পণ্য সামগ্রী নিজের দোকানের ভেতরে নিতে বাধ্য করা হয়েছে। কোনো অবস্থাতে রাজপথ বা ফুটপাতে কোনো পণ্যের পসরা রাখা যাবেনা বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিচ্ছেন ম্যাজিস্ট্রেটসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা।

বন্দরবাজার এলাকায় অনেক দোকানের সাইনবোর্ড-ইত্যাদিও সরিয়ে নিতে বাধ্য করা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন তারা লালদিঘীরপারে বসার তোড়জোড় শুরু করেছেন বলেও ।প্রশাসনের এমন কঠোর অভিযানের বিষয়টি জেনে বা দেখে নগরবাসী স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন। তবে দখলদার ব্যবসায়ীরা নানাভাবে উষ্মা প্রকাশ করছেন। আর হকাররা এখন রীতিমতো আতঙ্কিত।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।