ঢাকারবিবার , ৯ নভেম্বর ২০২৫
  1. অর্থনীতি
  2. আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. আরো
  5. খেলার খবর
  6. গণমাধ্যম
  7. চাকরির খবর
  8. জাতীয়
  9. দেশের খবর
  10. ধর্ম পাতা
  11. পরিবেশ
  12. প্রবাস
  13. প্রেস বিজ্ঞপ্তি
  14. বিজ্ঞান প্রযুক্তি
  15. বিনোদন
আজকের সর্বশেষ সবখবর

নিজের মতো ডায়েট করে স্বাস্থ্যঝুঁকি, পুষ্টিবিদের পরামর্শ

rising sylhet
rising sylhet
নভেম্বর ৯, ২০২৫ ১:০১ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ads

রাইজিংসিলেট- বর্তমান সমাজে “ফিটনেস” ও “স্লিম” হওয়ার প্রবণতা বাড়ছে। অনেকেই পেশাদার পুষ্টিবিদের পরামর্শ ছাড়াই নিজস্বভাবে বিভিন্ন ডায়েট অনুসরণ করছেন। এই অভ্যাস অনেক সময় শারীরিক, মানসিক ও পুষ্টিগত ক্ষতির কারণ হয়। চ্যানেল ২৪ অনলাইনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এনজিওর পুষ্টিবিদ চামিলি জান্নাত জানান, বাংলাদেশে এই প্রবণতা দ্রুত বাড়ছে, বিশেষ করে তরুণদের মধ্যে। তিনি নিজের মতো ডায়েট করার সম্ভাব্য স্বাস্থ্যঝুঁকি, সামাজিক প্রভাব ও করণীয় সম্পর্কে বিস্তারিত জানান।

১. পুষ্টি ঘাটতি ও শারীরিক দুর্বলতা
বাংলাদেশে অনেক তরুণ-তরুণী ডিটক্স ডায়েট, লিকুইড ডায়েট, ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং বা কিটো ডায়েট অনুসরণ করেন পেশাদার পরামর্শ ছাড়া। ফলে দেখা যায়—হঠাৎ ক্লান্তি, মাথা ঘোরা, মনোযোগের ঘাটতি, হিমোগ্লোবিন কমে যাওয়া (বিশেষ করে মেয়েদের ক্ষেত্রে), চুল পড়া, ত্বক শুষ্ক হওয়া ও মাসিকে অনিয়ম। ২০২৪ সালে বাংলাদেশ নিউট্রিশন জার্নাল-এর এক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, শুধুমাত্র সোশ্যাল মিডিয়া দেখে ডায়েট অনুসরণ করা তরুণীদের মধ্যে আয়রন ও ভিটামিন–ডি ঘাটতির হার দ্বিগুণ।

২. মানসিক ও আবেগীয় প্রভাব
“দ্রুত ওজন কমাতে হবে”—এই চাপ অনেককে অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসে ঠেলে দেয়। ICDDR,B–এর ২০২৩ সালের এক গবেষণায় দেখা গেছে, অনেকে ক্যালোরি কাউন্টিং বা দীর্ঘ উপবাস করতে গিয়ে মানসিক অবসাদ, রাগ, চঞ্চলতা ও বডি-ইমেজ সমস্যায় ভুগছেন। অর্থাৎ শরীরের যত্ন নিতে গিয়ে মানসিক ভারসাম্য হারাচ্ছেন অনেকেই।

৩. চিকিৎসাগত ঝুঁকি
ডায়াবেটিস, থাইরয়েড, পিসিওএস বা গ্যাস্ট্রিকের মতো রোগ থাকলে নিজের মতো ডায়েট করা বিশেষ ঝুঁকিপূর্ণ। উদাহরণস্বরূপ, পিসিওএস রোগীরা কার্বোহাইড্রেট বাদ দিয়ে প্রোটিন ও ফ্যাট বাড়ান, কিন্তু এতে ফাইবার কমে যায়। ডায়াবেটিক রোগীরা ফল বাদ দিলে ভিটামিন-মিনারেলের ঘাটতি হয়। আবার গ্যাস্ট্রিকের রোগীরা ফাস্টিং করলে এসিডিটি বা আলসার বাড়তে পারে।

৪. সোশ্যাল মিডিয়া ডায়েট ট্রেন্ডের বিভ্রান্তি
বাংলাদেশে জনপ্রিয় কিছু ট্রেন্ড যেমন গ্রিন টি ডায়েট, নো রাইস ডায়েট, অ্যাপেল সিডার ভিনেগার চ্যালেঞ্জ বা জুস ক্লিনজ মানা হচ্ছে বৈজ্ঞানিক ভিত্তি ছাড়াই। সাময়িকভাবে ওজন কমলেও এতে মাংসপেশি হ্রাস, জলশূন্যতা ও মেটাবলিজম দুর্বল হওয়ার ঝুঁকি থাকে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫ সালের এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, নিজের মতো ডায়েট করা ৬০ শতাংশ মানুষ এক মাসের মধ্যেই ডায়েট ভেঙে ফেলেন এবং ৮০ শতাংশের ওজন আবার বেড়ে যায়।

সুস্থ থাকতে করণীয়
পুষ্টিবিদ চামিলি জান্নাত পরামর্শ দেন, রেজিস্টার্ড পুষ্টিবিদের সঙ্গে আলোচনা করে ব্যক্তিগত ডায়েট পরিকল্পনা তৈরি করা উচিত। কারণ একজন বিশেষজ্ঞ আপনার বয়স, ওজন, কাজের ধরন, রোগ–ইতিহাস, ঘুম ও মানসিক অবস্থা বিবেচনা করে ডায়েট তৈরি করেন। প্রয়োজনে ল্যাব রিপোর্ট অনুযায়ী খাদ্যতালিকা সাজানো যায় (যেমন ভিটামিন ডি, বি১২ ও হিমোগ্লোবিন মাত্রা অনুযায়ী)। এতে পুষ্টি-সমতা বজায় থাকে ও ফুড অ্যানজাইটি কমে।

পুষ্টিবিদের পরামর্শ নেওয়ার ৩টি বড় সুবিধা:
১. নিরাপদ ডায়েট—শরীরের ক্ষতি ছাড়াই ওজন নিয়ন্ত্রণ।
২. স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস—দীর্ঘমেয়াদে অনুসরণযোগ্য।
৩. বাস্তব উপকার—শুধু ওজন নয়, এনার্জি, ঘুম, ত্বক ও চুলের উন্নতি।

নিজের মতো ডায়েট শুরু করা সহজ হলেও তা ঝুঁকিপূর্ণ। শরীরের জটিল পুষ্টি-ব্যবস্থা বোঝা পেশাদার পুষ্টিবিদের কাজ। তাই বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে ডায়েট করলে আপনি শুধু ওজন কমাবেন না, বরং শরীরকে দীর্ঘমেয়াদে সুস্থ, সক্রিয় ও ভারসাম্যপূর্ণ রাখতে পারবেন।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।