ঢাকাশনিবার , ৭ ডিসেম্বর ২০২৪
আজকের সর্বশেষ সবখবর

প্রবাসীর টাকা আত্মসাৎ সন্ধান দিতে পারলে পুরুষ্কার

rising sylhet
rising sylhet
ডিসেম্বর ৭, ২০২৪ ১১:০৬ অপরাহ্ণ
Link Copied!

সুনামগঞ্জে এক প্রবাসীর কাছে ভূমি বিক্রির বায়না করে তা আত্মসাতের অভিযোগ ওঠেছে। এছাড়াও ঋণের টাকা ফেরত দেওয়া হচ্ছে না। বায়নার টাকা ফেরত চাইলে ওই প্রবাসীকে বিভিন্ন মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দিচ্ছে চক্রটি। চক্রের মূলহুতা জুবিলী’র সন্ধানে পুরুষ্কার ঘোষণা করেন ভুক্তভোগী। এ ঘটনায় সিলেটের বিমানবন্দর থানায় সাধারণ ডায়রি করেছেন খাদিমনগর বড়শলার লন্ডন প্রবাসী মোহাম্মদ আবদুল বারিক (৬৯)।

জিডিতে তিনি উল্লেখ করেন সুনামগঞ্জের সদর থানার ওয়েজখালী গ্রামের মো. মনির উদ্দিনের মেয়ে মোছা. জুবিলী বেগম ও উস্তার মিয়ার মেয়ে ছাফারুন লন্ডন প্রবাসী আবদুল বারিকের পূর্ব পরিচিত। এ সুবাদে জুবিলী বেগমের মালিকানাধীন ভূমি বিক্রিতে আগ্রহ দেখালে কথাবার্তা এগিয়ে নেওয়া হয়। এর মাঝে জুবিলী তিন লাখ টাকা ধার চাইলে চলতি বছরের ২৬ জুন লন্ডন থেকে পিন নাম্বারে টাকা পাঠান আবদুল বারিক।

পরবর্তীতে ছাফারুন তার জায়গা বিক্রি করতে চাইলে ৬ শতক জায়গা ২৪ লাখ টাকায় সাব্যস্ত হয়। এর মধ্যে জুবিলী ঋণের টাকা জমি বিক্রির টাকার সাথে সমন্বয় না করে ৬ মাসের সময় চান।

এর প্রেক্ষিতে ৩০ জুন জুবিলী ও ছাফারুন প্রবাসীর বড়শলার বাসায় ৩০ জুন আসেন। সেখানে ৫ লাখ টাকা গ্রহণ করে ১০০ টাকার স্ট্যাম্পে ভূমি বিক্রির অঙ্গীকারনামা করেন।

এদিকে জুবিলী বেগমকে তার ওয়েজখালীস্ত বাড়িতে পাওয়া যায়নি। তার সাথে যোগাযোগ করতে তার মুঠোফোন ০১৭১৮৯০১৫৬৫ নাম্বারে বারবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।

 

 

 

অঙ্গীকারনামার প্রেক্ষিতে ১০ জুলাই জুবিলী বেগমের কাছে ২ লাখ টাকা ও ১৯ আগস্ট ৮৫ হাজার টাকা পিন নাম্বারে পাঠান ওই প্রবাসী। মাসখানেক আগে আবদুল বারিক দেশে ফিরে জুবিলী বেগম ও ছাফারুনের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলে, তারা বিভিন্নভাবে হুমকি দিতে থাকে। বিভিন্ন মাধ্যমে তারা জানিয়েছে টাকা কিংবা ভূমি চাইলে বিভিন্ন মামলায় আসামি করবে। এ ঘটনায় উদ্বিগ্ন ওই প্রবাসী এয়ারপোর্ট থানার সাধারণ ডায়রি করেছেন।

 

 

লন্ডন প্রবাসী আবদুল বারিক বলেন, আত্মীয়তার সুবাদে প্রাক্তন ওয়ার্ড সদস্যা জুবিলী একটি চক্র সাজিয়ে সাথে আমার কাছ থেকে ৮ লাখ ৮৫ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেছে। টাকা চাইলেই আমার সাথে বিরুদ্ধ তৈরি হয়। এখন সরকার পরিবর্তনের সাথে সাথে আত্মগোপনে গিয়ে আমাকে হুমকিসহ বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করার পায়তারাও করছে। আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল আমি জুবিলীর সন্ধান চাই। আইনের মাধ্যমেই আমার টাকা কিংবা জায়গা ফেরত চাই। জুবিলী’র সন্ধান দাঁতাকে ২০ হাজার টাকা পুরুষ্কার প্রদান করবেন বলে জানান তিনি। আবদুল বারিক তার ০১৮৮৯৯৩৩৯০৬ মুঠোফোন যোগাযোগ করার অনুরোধ করেন।

এয়ারপোর্ট থানার ওসি সৈয়দ আনিসুর রহমান বলেন, থানায় সাধারণ ডায়রি করা হয়েছে। পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।

১২২ বার পড়া হয়েছে।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।