বর্তমানে তিনি ঢালিউডের প্রথম সারির খল অভিনেতা মিশা সওদাগরের । তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে বড় পর্দায় দর্শক মাতাচ্ছেন এই অভিনেতা। এখন পর্যন্ত নয়শো পঞ্চাশটিও বেশি সিনেমায় অভিনয় করে রেকর্ড গড়েছেন তিনি।
গেল ঈদুল ফিতরে ‘বরবাদ’ সিনেমায় নায়ক শাকিব খানের সঙ্গে খলনায়ক মিশা সওদাগর পর্দায় হাজির হয়েছেন বাবার চরিত্রে। যারা ছবিটি দেখেছেন, একবাক্যে আরিয়ান মির্জা (শাকিব খান) ও আদিব মির্জার (মিশা সওদাগর) পর্দায় উপস্থাপন উপভোগ করেছেন। বাবার চরিত্রে মিশার অভিনয় প্রশংসিত হলেও শুরুতে এই চরিত্র নিয়ে চিন্তিত ছিলেন মিশা। তবে শেষ পর্যন্ত তার মুখে এখন বিজয়ের হাসি।
এদিকে, ঢাকাই সিনেমার নায়ক শাকিব খান অভিনয়জীবনের শুরু থেকেই খলনায়ক হিসেবে পেয়েছেন মিশাকে। শতাধিক ছবিতে অভিনয় করেছেন তারা। ঢালিউড সংশ্লিষ্টদের কারও মতে, নায়ক ও খলনায়কের দারুণ জুটি হয়ে উঠেছেন শাকিব খান ও মিশা সওদাগর। এই দুজনের সিনেমা হিট–সুপারহিট এবং ব্লকবাস্টারও হয়েছে।
দেশের মুক্তির পর বিদেশের মাটিতেও দাপট দেখাচ্ছে ‘বরবাদ’। মিশা সওদাগর বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে আছেন। এর সেখানেই স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে ‘বরবাদ’ দেখলেন তিনি।
সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, ‘বরবাদ’ দেখে বের হয়ে ক্যামেরার মুখোমুখি হন মিশা। এসময় অভিনেতা তার দুই ছেলেকে ডেকে এনে ‘বরবাদ’ সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইছেন।
সিনেমাটি নিয়ে মিশা বলেন, যে কোনো ছবির পৃষ্টপোষকতা খুব দরকার। আর পৃষ্টপোষক হচ্ছেন দর্শক। নিজে দেখবেন, এবং অন্যকে দেখতে উৎসাহিত করবেন। তবেই এরকম বড় আয়োজনের ছবি বেশী বেশী আসবে। প্রযোজক লগ্নী করতে ভরসা পাবে। ‘বরবাদ’ সিনেমাটি বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বাজেটের সিনেমা। কিন্তু গতকাল একটা খবর শুনেছি, সিনেমাটি নাকি পাইরেসি হয়েছে। যারা এটার সাথে জড়িত, তাদের আইনের আওতায় এনে উপযুক্ত শাস্তি নিশ্চিত করা উচিত। এরআগেও কমার্শিয়াল সিনেমায় এরকম অবস্থা তৈরী হয়েছিলো, চলচ্চিত্রকে বিনষ্ট করে দিয়ে গেছে। পাইরেসিকে যদি এখনই ঠেকানো না যায়, তাহলে চলচ্চিত্রে ‘বরবাদ’-এর প্রযোজকের মতো একটা আজিম ভাই, শাহরিন আপু আসবে না।
এসময় তিনি ঈদে মুক্তি পাওয়া এবং দর্শকপ্রিয়তা পাওয়া দাগি, জংলি এবং চক্কর ছবিগুলোকেও অভিনন্দন ও শুভ কামনা জানান।
এরমধ্যে ছোট ছেলে ওয়াইশ কার্নি হাসান বলেন, ‘বরবাদ’ দেখে একদমই মনে হয়নি যে এটি বাংলাদেশের ছবি। স্পেশালি আমাদের নায়ক শাকিব খানকে খুবই ভালো লেগেছে, আমার বাবার অভিনয়ও দারুণ লেগেছে।
বড়ছেলে হাসান মোহম্মদ ওয়ালিদ বলেন, ‘বরবাদ’-এর জন্য অনেক দিন ধরেই অপেক্ষা করছি। নিউ ইয়র্কের পর অবশেষে ডালাসে এসেছে। এতোদিন অপেক্ষার পর আজকে ‘বরবাদ’ দেখে মোর দ্যান সেটিসফাইড! কিছুদিন আগে শাকিব আঙ্কেলের আরেকটা ছবি আসছিলো, ‘তুফান’- ওইটাও ফ্যান্টাস্টিক। কিন্তু ‘বরবাদ’ আরো দারুণ। সবাইকে বলি, ‘বরবাদ’ হলে এসে দেখুন।
এসময় ওয়ালিদ বলেন, এটা সব শ্রেণির দর্শকের ছবি। ইন্টেলেকচুয়াল থেকে শুরু করে যারা কলেজপড়ুয়া- বলতে গেলে এটি আমজনতার ছবি। বাংলাদেশি ফিল্ম, কিন্তু পুরোপুরি আমেরিকান স্ট্যান্ডার্ড!