ঢাকাবুধবার , ২৯ নভেম্বর ২০২৩
  1. অর্থনীতি
  2. আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. আরো
  5. খেলার খবর
  6. গণমাধ্যম
  7. চাকরির খবর
  8. জাতীয়
  9. দেশের খবর
  10. ধর্ম পাতা
  11. পরিবেশ
  12. প্রবাস
  13. প্রেস বিজ্ঞপ্তি
  14. বিজ্ঞান প্রযুক্তি
  15. বিনোদন
আজকের সর্বশেষ সবখবর

বাংলাদেশের পর্যটনসেবা ও নিরাপত্তা

rising sylhet
rising sylhet
নভেম্বর ২৯, ২০২৩ ৫:৩২ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ads

বাংলাদেশের পর্যটনসেবা ও নিরাপত্তা,শস্য-শ্যামলা সবুজে ভরা আমাদের এই বাংলাদেশ। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের পাদপীঠ এই বাংলাদেশের সবুজ-শ্যামল নিসর্গ পর্যটকদের কাছে এক অনন্য আকর্ষণ। এ দেশে ভ্রমণ ও বিনোদন, তথা অবকাশ যাপনের বহু স্থান রয়েছে। কিন্তু সে তুলনায় আমাদের পর্যটন শিল্প আজো অনেক পিছিয়ে আছে এবং এ খাতে আয় কম বলে জাতীয় অর্থনীতিতে এ সম্ভাবনাময় ক্ষেত্রের অবদান এখনো অপর্যপ্ত। আর বাংলাদেশে বিদেশি পর্যটকদের আগমন যে, নেহাত নগণ্য -এটা বলাই বাহুল্য। অথচ দেশের ইমেজ আন্তজার্তিক-পর্যায়ে তুলে ধরা এবং মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের জন্য তাদের উল্লেখযোগ্য উপস্থিতি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পর্যটন এখন শুধু আনন্দের খোরক নয়, একটি শিল্প। তবে যেকোনো স্থানের পর্যটন বিকাশের জন্য পূর্বশর্ত হচ্ছে সে স্থানের নিরাপত্তা।

পৃথিবীর প্রায় সব দেশে পর্যটন এখন অন্যতম অগ্রাধিকার খাত। নিরাপত্তা ও অবকাঠামোগত সুযোগ-সুবিধা পর্যটন বিকাশের পূর্বশর্ত। পর্যটনবান্ধব পরিবেশ পর্যটকের আস্থা ও বিশ্বাস বাড়ায়। কিন্তু দেশে নানা কারণে পর্যটন শিল্পের প্রসার ঘটছে না। কিছুদিন আগে ঘটে যাওয়া গণধর্ষণের ঘটনাটি বাংলাদেশের পর্যটনের ক্ষেত্রে নিরাপত্তার ওপর প্রশ্ন তুলে ধরে। দেশের প্রধান পর্যটনস্থল কক্সবাজারে ১ হাজার ২৫০ জন পর্যটকের নিরাপত্তার জন্য রয়েছে মাত্র একজন পুলিশ। সন্ধ্যার পর এ এলাকায় নিরাপত্তা সংকট সহজেই অনুময়। বলা বাহুল্য, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সীমাবদ্ধতা আছে। লাখ লাখ পর্যটকের নিরাপত্তায় আছে মাত্র- ২১১ জন ট্যুরিস্ট পুশিল। হিমছড়ি, রামু, সোনাদিয়া, সাবরাং, টেকনাফ, সিলেটের জাফলং এবং সাদাপাথরসহ বহু স্থানে পর্যটকের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে। ২০১৫ সালে বিদেশী একজন নারী পর্যটক ধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন। বিভিন্ন পর্যটন স্থানে এমন বহু ঘটনা দেখা গেছে বিগত বছরগুলোয়। ট্যুরিস্ট পুলিশের সীমাবদ্ধতা ছাড়াও সঠিক ব্যবস্থাপনার অভাবকে দায়ী করা যায় এরূপ অবস্থার পেছনে। হোটেল-মোটেলগুলোয় তেমন কোনো নিরাপত্তার উদ্যোগ দেখা যায় না। তাদের উদ্দেশ্য শুধু ব্যবসা করা। হোটেল ব্যবসায়ীরা পর্যটকদের নিরাপত্তার ব্যাপারে তেমন সচেষ্ট নন। বিশে^র অন্যতম পর্যটনবান্ধব দেশ হয়েও সুষ্ঠু পরিকল্পনা ও ব্যবস্থাপনার অভাবে বাংলাদেশ পর্যটন শিল্পে তলানিতেই পড়ে আছে। বিশ^ অর্থনৈতিক ফোরামের (ডব্লিউইএফ) ‘ভ্রমণ ও পর্যটন প্রতিযোগী সক্ষমতা প্রতিবেদন- ২০১৭’ অনুযায়ী ১৬৩টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১২৫তম। ১৯৫০ সালে পৃথিবীতে পর্যটকের সংখ্যা ছিল ২৫ মিলিয়ন। ২০১৬ থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ১ হাজার ২৩৫ মিলিয়নে। ধারণা করা হচ্ছে, এ বছর প্রায় ১৩৯ কোটি ৫৬ লাখ ৬০ হাজার পর্যকট সারা বিশে^ ভ্রমণ করবে। অর্থাৎ গত ৬৭ বছরে পর্যটক সংখ্যা প্রায় ৫০ গুণ বেড়েছে।

পর্যটকের সংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের পরিধি ব্যাপকতা লাভ করছে। পর্যটন শিল্প বিকাশে অবারিত সুযোগ রয়েছে বাংলাদেশে। বিদেশী পর্যটকনির্ভরতা ছাড়াও দেশের পর্যটক নিরাপত্তা, যোগাযোগের সুবিধা, আকর্ষণীয় অফার দিলে মানুষ আগ্রহ নিয়ে দেশ ঘুরে দেখতে চাইবে। আমাদের পর্যবেক্ষণ বলে-১৬ কোটির বেশি মানুষ, গড়ে প্রতি বছর ১০ ভাগও যদি দেশ ঘুরে দেখে তাহলে বিশাল অংকের অর্থনৈতিক তৎপরতা সৃষ্টি হবে । দেশের অর্থনীতি ও কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে বড় পরিবর্তন করেছে পর্যটন শিল্প বিকাশের ফলে। আশার কথা হলো, ২০০৯ থেকে ২০১৭ সাল গত আট বছরে ৬ হাজার ৬৯৯ দশমিক ১৬ কোটি টাকা পর্যটন শিল্পের মাধ্যমে আয় হয়েছে। বিভিন্ন উৎসবকালীন মানুষের ঘুরে বেড়ানোর যে প্রবণতা, তা এই অর্থনৈতিক বিকাশ আরও বাড়িয়ে দেবে। বিশ^ পর্যটন সংস্থার পক্ষ অনুযায়ী সারা বিশ্বে ২০২০ সাল নাগাদ পর্যটন থেকে প্রতি বছর ২ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় হবে। ২০৫০ সাল নাগাদ ৫১টি দেশের পর্যটক আমাদের দেশে আসবে। বাংলাদেশের জিডিপির ১০ শতাংশ পর্যটন খাত থেকে আয় করা সম্ভব। বাংলাদেশের সৌন্দর্যে যুগে যুগে বহু পরিব্রাজক ও ভ্রমণকারী মুগ্ধ হয়েছেন। স্বাভাবিকভাবেই এ সৌন্দর্যের লীলাভূমি বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের উন্নয়ন সম্ভাবনা অপরিসীম। আমাদের রয়েছে সুবিশাল সমুদ্রসৈকত, পাহাড়, জলপ্রপাত, প্রত্নতত্ত্বের প্রাচুর্য, ঐতিহাসিক নিদর্শনসহ নানা ধরনের প্রাকৃতকি সৌন্দর্যমণ্ডিত স্থান; যা পর্যটকদের আকর্ষণ করার জন্য যথেষ্ট। আমরা মনে করি, একটু সচেতন হলেই নিজেদের পর্যটন ক্ষমতা বাড়িয়ে বিপুলসংখ্যক বিদেশী দর্শনার্থীকে নিজের দেশে আনতে পারি। আধুনিক জীবনের চাওয়া মাথায় রেখে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে আমাদের পর্যটন শিল্পের বিকাশে সচেষ্ট হতে পারি। পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকতসহ দেশের সর্বত্র পর্যটকদের আগমন নিশ্চিত করতে নিরাপত্তার দিকটিকে গুরুত্ব দেওয়া জরুরি। ট্যুরিস্ট পুলিশদের আরও বেশি সতর্কতা দরকার এবং অপরাধ কঠোর হাতে নির্মূল করতে হবে। আমরা মনে করি, পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য সঠিক ব্যবস্থাপনাই পর্যটকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করবে।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।