
পশুপালন অনুষদ ও ভেটেরিনারি অনুষদের শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের আন্দোলনের পর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কম্বাইন্ড ডিগ্রি প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে তিনটি ডিগ্রি বহাল রাখার সিদ্ধান্ত প্রত্যাখান করে উত্তাল হয়ে উঠেছে শিক্ষার্থীরা।বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) ।
রোববার (৩১ আগস্ট) দুপুরে জরুরি একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় সিদ্ধান্ত হয়—পশুপালন ও ভেটেরিনারি অনুষদ মিলে নতুন কম্বাইন্ড ডিগ্রি চালু হবে। তবে বিদ্যমান ভেটেরিনারি, পশুপালন এবং নতুন কম্বাইন্ড—এই তিন ধরনের ডিগ্রিই বহাল থাকবে। সিদ্ধান্ত ঘোষণার পরপরই ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন মিলনায়তনে তালা ঝুলিয়ে দেন। এতে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. কে. ফজলুল হক ভূঁইয়াসহ বিভিন্ন অনুষদের মোট ১২৭ জন শিক্ষক ভেতরে আটকা পড়েন।
সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী সেশন থেকে কম্বাইন্ড কোর্সে ১৫০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি করানো হবে। ইতোমধ্যে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের জন্য অপশন থাকবে—তারা চাইলে ভেটেরিনারি, পশুপালন বা কম্বাইন্ড—যেকোনো একটি ডিগ্রি নিতে পারবেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী দুই অনুষদ একীভূত করা সম্ভব নয়; তবে মিলিতভাবে কম্বাইন্ড ডিগ্রি প্রদান করা হবে এবং পালাক্রমে দুই অনুষদ থেকেই ডিন নির্বাচিত হবেন।
তবে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাখান করেছেন। তাদের দাবি, এক পেশায় একটাই ডিগ্রি থাকবে। তাঁরা শুধুমাত্র কম্বাইন্ড ডিগ্রি (বিএসসি ইন ভেট সায়েন্স অ্যান্ড এএইচ) চালুর দাবি জানিয়েছেন।
পশুপালন অনুষদের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী তাহমিনা আক্তার বলেন, আমাদের দাবি ছিল একটি ডিগ্রি। কিন্তু শিক্ষকরা জানালেন তিনটি ডিগ্রি বহাল থাকবে। আমরা এটি মানি না। আমাদের আন্দোলন চলবে যতক্ষণ পর্যন্ত এক বিশ্ববিদ্যালয়ে এক ডিগ্রি কার্যকর না হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মো. আসাদুজ্জামান সরকার জানান, শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে কাউন্সিলে সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। নতুন কারিকুলাম প্রণয়নে চার সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
গত ২৭ জুলাই থেকে পশুপালন অনুষদের শিক্ষার্থীরা ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে আন্দোলনে নেমেছেন। ৩০ জুলাই থেকে অনুষদ ভবনে তালা ঝুলছে। একই দাবিতে ২৫ আগস্ট থেকে আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন ভেটেরিনারি অনুষদের শিক্ষার্থীরাও।