থাইল্যান্ড ও মিয়ানমারের অনেক বহুতল ভবন ধসে পড়েছে। সেগুলোতে আটকে পড়েছেন অনেকে। ফলে হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে দুই দেশেই জরুরি অবস্থা জারি করেছে দেশ দুটির সরকার। এদিকে ভয়াবহ এই ভূমিকম্পে মিয়ানমারের ঔপনিবেশিক আমলের একটি সেতু ধসে পড়েছে। ভেঙে পড়া ৯১ বছর বয়সী আভা নামের সেতুটি ব্রিটিশদের দ্বারা নির্মিত হয়েছিল।
এদিকে ভয়াবহ এই ভূমিকম্পে মিয়ানমারের ঔপনিবেশিক আমলের একটি সেতু ধসে পড়েছে। ভেঙে পড়া ৯১ বছর বয়সী আভা নামের সেতুটি ব্রিটিশদের দ্বারা নির্মিত হয়েছিল। পুরাতন সাগাইং সেতু নামেও পরিচিত সেতুটি মান্দালয় এবং সাগাইং অঞ্চলের মধ্যে ইরাবতী নদীর ওপর বিস্তৃত।
শুক্রবার (২৮ মার্চ) দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটে ভূমিকম্পের এ ঘটনা ঘটে। খবর বিবিসির।
ভূমিকম্পের তীব্রতায় দেশটির রাস্তাঘাট ভেঙে গেছে। স্তব্ধ হয়ে পড়েছে জনজীবন। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মান্দালয় প্রাসাদও। এ ছাড়া অন্যান্য এলাকার বহু ভবন ধসে পড়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে।
ইউএসজিএস জানিয়েছে, পরপর দুটি কম্পন আঘাত হানে অঞ্চলটিতে। ৭ দশমিক ৭ মাত্রার প্রথম কম্পনটি স্থানীয় সময় শুক্রবার দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটে সাগাইং শহরের ১৬ কিলোমিটার (১০ মাইল) উত্তর-পশ্চিমে ১০ কিলোমিটার গভীরে আঘাত হানে। এ ছাড়া প্রথম কম্পনের ১২ মিনিট পরে দ্বিতীয় কম্পন অনুভূত হয়, যার মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৪।
মিয়ানমারের রাজধানী নেপিদোর একটি প্রধান হাসপাতালে বহু আহত ব্যক্তিকে নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। ভূমিকম্পের ফলে সমস্যা দেখা দিয়েছে মোবাইল নেটওয়ার্কেও। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত ছবিতে ভবন ও সড়কের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি দেখা গেছে।