ভেন্যু পরিবর্তনে সম্মতি দিয়েছে স্বাগতিক দুই দেশ,
এবারের এশিয়া কাপে শ্রীলঙ্কায় গ্রুপপর্বের ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে ক্যান্ডির পাল্লেকেল্লে স্টেডিয়ামে। ফাইনালসহ সুপার ফোরের ৫টি ম্যাচ হওয়ার কথা কলম্বোর প্রেমদাসা স্টেডিয়ামে। কিন্তু কলম্বো শহরের উত্তরাঞ্চলে গত কিছুদিন ধরে ভারী বৃষ্টির কারণে বন্যা হয়েছে। প্রেমাদাসা স্টেডিয়াম থেকে বন্যার অঞ্চলটা খুব বেশি দূরে নয়। স্থানীয় আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী আরও দুই সপ্তাহ টানা বৃষ্টি হবে কলম্বোয়।
সেটা হলে, ভারত-পাকিস্তান তো বটেই সুপার ফোরের ম্যাচগুলোও ভেসে যাবে। এতে এসিসি ও প্রধান সম্প্রচারকারী চ্যানেল স্টার স্পোর্টস বিশাল আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়বে । এ কারণেই জরুরি ভিত্তিতে ভেন্যু পরিবর্তনের জন্য এসিসির সঙ্গে আলোচনায় বসে এশিয়া কাপের সম্প্রচারকারী সংস্থা ডিজনি স্টার।
বিকল্প ভেন্যু হিসেবে ক্যান্ডি থেকে ৭০ কিলোমিটার দূরের শহর ডাম্বুলার নাম সবচেয়ে বেশি উচ্চারিত হচ্ছে। এই মাঠেই ২০১০ সালের এশিয়া কাপের ফাইনাল মাঠে গড়িয়েছিল। তবে এতো দ্রুত সময়ের মধ্যে এশিয়া কাপের ম্যাচ আয়োজনে মাঠটি প্রস্তুত নয়। এছাড়া সেখানে ফ্লাডলাইট ঠিক করার কাজও চলছে এখন। আর সেখানকার আবাসন ব্যবস্থা নিয়ে ভারতের অসন্তুষ্টি তো রয়েছেই।
ইতিমধ্যে স্বাগতিক দুই দেশের ক্রিকেট বোর্ডও (এসএলসি ও পিসিবি) ভেন্যু পরিবর্তনে সম্মতি দিয়েছে।
যদিও কলম্বোয় বৃষ্টির মৌসুম শুরু হয় অক্টোবর থেকে। গত ৯ বছরে সেপ্টেম্বর মাসে প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে এখন পর্যন্ত ৯ টি ম্যাচ আয়োজিত হয়। যেখানে মাত্র দুটি ম্যাচই বৃষ্টি বাধায় পড়েছিল। যদিও ফল হয়েছে সব ম্যাচের।
তবে এবার আবহাওয়া সম্পূর্ণ বিরুপ আচরণ করছে। এমনকি ক্রিকেট বিষয়ক ওয়েবসাইট ক্রিকইনফোর মতে, সুপার ফোরে নির্ধারিত সূচির দিন কলম্বোতে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ অনুষ্ঠিত হলে আবার বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।